এবার সর্বোচ্চ আদালতে লড়বে ‘গুগল-ওরাকল’
এক ইমেইল বিবৃতিতে সর্বোচ্চ আদালতের ‘পর্যালোচনা’ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে গুগল। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের জ্যৈষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন্ট ওয়াকার বলেছেন, ডেভেলপারের হাতে যে কোনো প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ্লিকেশন তৈরির স্বাধীনতা থাকা উচিত। তাদেরকে কোনো “একক প্রতিষ্ঠানের ‘সফটওয়্যারে’ আটকে রাখা উচিত নয়।” — খবর সিনেট-এর।
এদিকে, ওরাকল কর্মী ডেবরা হেলিঙ্গার বলছেন, “বিপুল সংখ্যক সফটওয়্যার কোড কপি করার অজুহাত হিসেবে যে কারণ দেখানো হবে, তা নিশ্চয়ই প্রত্যাখ্যান করবে আদালত।”
উল্লেখ্য, গুগল নির্মিত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ওরাকল মালিকানাধীন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ’। বিষয়টিকে শুরু থেকেই সহজভাবে নেয়নি ওরাকল।
পেটেন্ট লঙ্ঘন এবং স্বত্ত্বাধিকার প্রশ্নে ২০১০ সালেই গুগলের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে গুগল বলছে, কোনো নিয়ম ভাঙা হয়নি। কারণ তাদের সফটওয়্যারটি ‘ওপেন সোর্স’। “ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের জন্য আলাদা করে অনুমতি নিতে হয় না, এটি ‘সুষ্ঠু-ব্যবহার বা ফেয়ার-ইউজ’ নীতির অধীনে থাকে।”
কিন্তু সে যুক্তি মানতে নারাজ ওরাকল। প্রতিষ্ঠানটির কথা হচ্ছে, “যে হারে এবং যে পন্থায় জাভা প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কোড ব্যবহৃত হয়েছে, তা কোনোভাবেই সুষ্ঠু ব্যবহার বা ফেয়ার-ইউজ হতে পারে না।”
‘সান মাইক্রোসিস্টেমস’কে কেনার মধ্য দিয়ে ‘জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের’ মালিকানা পেয়েছিল ওরাকল। এর আগে গুগলের কাছে ৮৮০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল ওরাকল।
মামলাটির রায় ২০১৬ সালে গুগলের পক্ষে দেওয়া হলেও, সে চিত্র পাল্টে যায় ২০১৮ সালেই। ওই বছরে মার্কিন এক ফেডারেল আপিল আদালত রায়ে জানায়, গুগল যেভাবে ওরাকল সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে, তা ‘সুষ্ঠু ব্যবহার বা ফেয়ার-ইউজ’ নীতিমালার সীমা লঙ্ঘন করেছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!