ad720-90

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল: হুয়াওয়ে


হুয়াওয়ে টেকনোলজির (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। এখানে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। প্রান্তিক পর্যায়ে এসব প্রযুক্তিগত সুবিধা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স ২০১৯’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এসব কথা বলেছেন হুয়াওয়ের ওই কর্মকর্তা।

হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুয়াওয়ের করা সূচকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি এখন অনেকটাই এগিয়েছে। গ্লোবাল কানেকটিভিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে ৭ পয়েন্ট। গত চার বছরে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। তালিকায় থাকা অন্য তিনটি দেশ হচ্ছে ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আলজেরিয়া। ২০১৫ সালে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিজিটাল অর্থনীতিতে সারা বিশ্বের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স (জিসিআই) ডিজিটাল বিকাশের ওপর হুয়াওয়ের প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন, যা আইসিটি উদ্ভাবন এবং আইসিটি অ্যাপ্লিকেশনগুলো কীভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে বিকাশ লাভ করতে পারে, তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। ২০১৪ সাল থেকে হুয়াওয়ে প্রতিবছর সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনা নামক চার ক্ষেত্রের ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে একটি জিসিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।

জিসিআই ২০১৯ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরেরও কম সময়ের পথচলায় ‘গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক সূচকে ৭ পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর দেশটিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর হার ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ শতাংশ।

ওই প্রতিবেদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অন্যতম প্রধান সঞ্চালক হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, ব্রডব্যান্ড, ক্লাউড এবং আইওটির মতো করে ‘ইন্টেলিজেন্ট কানেকটিভিটি’ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রযুক্তির এই চার ধারার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংযোগকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো যায়, তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের এখনই ভাবা উচিত।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar