ad720-90

টিকটকের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে শিক্ষার্থী


বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলাটি। মামলার বাদী ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টো নিবাসী কলেজ শিক্ষার্থী মিস্টি হং। — খবর রয়টার্সের।

নিজ অভিযোগে মিস্টি হং জানান, ২০১৯ সালের মার্চ বা এপ্রিলের দিকে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড করলেও সেবাটিতে কোনো অ্যাকাউন্ট করেননি তিনি। কয়েক মাস পরে হং টের পান, তার নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে টিকটক এবং ওই অ্যাকাউন্টে নানাবিধ ব্যক্তিগত তথ্য যোগ করা হয়েছে। সে সব তথ্যের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্যও রয়েছে। বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো তার পোস্ট না করা ভিডিও থেকে সংগ্রহ করেছে সোশাল ভিডিও অ্যাপটি।

মামলার নথি বলছে, ২০১৯ সালের এপ্রিলে চীনের দুটি সার্ভারে ব্যবহারকারীদের ডেটা পাঠিয়েছে টিকটক। বাগলি ডট কিউকিউ ডটকম এবং উমেং ডটকম নামের ওই সার্ভার দুটিতে ব্যবহারকারীর ডিভাইস সম্পর্কিত তথ্য এবং তিনি কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, সে সম্পর্কিত তথ্য পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাগলি সার্ভারটির মালিক প্রতিষ্ঠান চীনের বৃহত্তম সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট। আর উমেং সার্ভারটির মালিক প্রতিষ্ঠান চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপ।

মামলার নথিতে দাবি করা হয়েছে, টিকটক অ্যাপে চীনা টেক জায়ান্ট বাউদু’র সোর্স কোড এবং চীনা বিজ্ঞাপন সেবাদাতা ইগেক্সিনের কোডের উপস্থিতি রয়েছে। ২০১৭ সালেই নিরাপত্তা গবেষকরা রায় দিয়েছেন, ইগেক্সিনের ওই কোড ইনস্টল করে নজরদারি চালাতে পারেন ডেভেলপাররা।

তবে, কোড বিষয়ে এমন দাবি করলেও, মামলার নথির সঙ্গে এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ সংযুক্ত করা হয়নি এখনও। এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী হং এবং তার আইনজীবির কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বলেও উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

এদিকে, অভিযোগ এবং মামলা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি টিকটক-ও।

সবমিলিয়ে বেশ চাপের মধ্যেই আছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য বেশ আগেই জানিয়েছে, কোনো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা চীনে সংরক্ষণ করে না তারা, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের সার্ভারে সংরক্ষিত হয় তাদের ডেটা।

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন হওয়া স্বত্ত্বেও সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চীন ভূখণ্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয় টিকটক। এমনকি সোশাল ভিডিও অ্যাপটির ভক্ত দলের মধ্যে মার্কিন কিশোর-কিশোরীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।

কিন্তু তারপরেও প্রতিষ্ঠানটিকে ছেড়ে কথা বলছে না যুক্তরাষ্ট্র। ডেটা সংরক্ষণ ও রাজনৈতিক স্পর্শকাতর কনটেন্ট সেন্সর প্রশ্নে টিকটকের নামে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন সরকার। নতুন মামলাটি যে ওই আগুনেই ঘি ঢালবে, তা অনেকটা নিশ্চিত।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar