ad720-90

বাজারে এলো স্যামসাং এর নতুন ফোন ‘M30S’


মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে স্যামসাং একটি পছন্দের ব্র্যান্ড। স্যামসাং ফোন ব্যবহার করেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে মাঝখানে কিছু অপ্রত্যাশিত পারফরমেন্স এবং বেশি দামের কারণে স্যামসাং তাদের প্রত্যাশিত কাস্টমার হারিয়ে ফেললেও এখন তারা আবারও তাদের আগের জায়গায় ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

২০১৯ সালেই স্যামসাং তাদের নতুন দুই ‘M’ সিরিজ এবং ‘A’ সিরিজের স্বল্প বাজেটের ফোন নিয়ে মাঠে নেমেছে যা ইতিমধ্যেই অনেকের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো স্যামসাং ‘M30’ এবং ‘M30S’। সম্প্রতি এই ফোন দুইটি বাংলাদেশের বাজারে এসেছে।

স্যামসাং তাদের পুরনো ডিজাইনটি এই মডেলেও ধরে রেখেছে। ফোন দুটির আউটলুকে সামনে থাকছে ইউ শেপ নচ। তবে পেছনে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ‘M30’ থেকে ‘M30S’ এর জায়গা একটু পরিবর্তন করা হয়েছে। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ছয় হাজার মিলিয়ন পাওয়ার ব্যাটারি। এই ডিভাইসটির ওজন মাত্র ১৮৮ গ্রাম।

ওপাল ব্ল্যাক, পার্ল হোয়াইট এবং সেফিয়ার ব্লু নামে তিনটি রঙে ফোনটি বের করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট আনলক এবং ফেস আনলক উভয় ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। এছারাও আরও থাকছে এক্সটারনাল এসডি কার্ড স্লট এবং টাইপ সি পোর্ট।
‘M30’ এবং ‘M30S’ এর ডিসপ্লে এর মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকছে না। থাকছে ৬.৪ ইঞ্চি এর ফুল এইচডি সুপার এমুলেট প্যানেল। হরাইজন ডিসপ্লে বেশ কিছু কাস্টমাইজেশন সহ রাখা হয়েছে। তবে ‘M30’ এবং ‘M30S’ এর মধ্যে পার্থক্য রাখা হয়েছে হার্ডওয়্যারে। ‘M30’ তে ব্যাবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১(ওরিও) এবং ‘M30S’ এ ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৯.০(পাই)। ‘M30’ তে থাকছে ২/১.৮গিগাহার্জ ওকটাকোঁড় প্রসেসর এবং ‘M30S‘ এ থাকছে ৪/২.৩ গিগাহার্জ ওকটাকোঁড় প্রসেসর। তবে ‘M30S’ এ পরিবর্তিত চিপ সেট হিসেবে থাকছে এক্সিনস ৯৬১১ প্রসেসর যা গ্যালাক্সি ‘A50S’ এর মতোই। ‘M30’ তে দেয়া হয়েছে ওয়ান ইউআই ভার্সন ১.৫। ‘M30’ তে রাখা হয়েছে ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম এবং ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪রম আবার ‘M30S’ এ রাখা হয়েছে ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম।

এবার যাওয়া যাক ক্যামেরায়। পেছনে থাকছে তিনটি ক্যামেরা। প্রথমে রাখা হয়েছে ৪৮ মেগা পিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এরপর রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা এবং সবশেষে রাখা হয়েছে ৫ মেগা পিক্সেলের ডেপ্ত সেন্সর। সামনে রাখা হয়েছে ১৬ মেগা পিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে হেভি ইউজ না করলে খুব ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটি। তবে গেমারদের জন্য খারাপ খবর, এই ফোন দিয়ে হেভি গেম বেশি সময় ধরে খেলা যাবে না।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar