সৌদি যুবরাজ নয়, ‘মেসেজ কাণ্ডে’ প্রেমিকার ভাই
আগের বছর জানুয়ারিতে লরেন এবং বেজোসের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ন্যাশনাল ইনকোয়েরার। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের প্রতিবেদকও ওই বার্তাগুলো দেখেছেন।
সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে মে মাসে বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনায় সৌদি আরবের জড়িত থাকার “সম্ভাবনা অনেক বেশি”। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের অ্যাকাউন্ট থেকে বেজোসের হোয়াটসঅ্যাপ আকাউন্টে একটি ভিডিও বার্তা আসার পরই তার ফোন হ্যাকিংয়ের শিকার হয় বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই নতুন করে আলোচনায় আসে লরেনের সঙ্গে বেজোসের সম্পর্ক।
বেজোসের নির্দেশে এফটিআই কনসালটিংয়ের তদন্তে উঠে এসেছে বার্তা পাওয়ার পর ভিডিওতে ট্যাপ করায় গোপনে অনেক ডেটা শেয়ার করছিলো বেজোসের ফোন।
একাধিক নিরাপত্তা গবেষক তখন বলেছিলেন, এফটিআইয়ের প্রতিবেদন এমনটা প্রমাণ করে না যে বেজোসের ফোন হ্যাকিং হয়েছে সৌদির দ্বারা। এটি কাকতালীয় ঘটনার ওপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে, বেজোসের ডেটা সৌদি আরবে গিয়েছে এমন কোনো প্রমাণের ভিত্তিতে নয়।
এর আগে বেজোসও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সৌদি আরব এবং ন্যাশনাল এনকোয়েরারের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। তবে এতে প্রমাণিত হয় না বেজোসের সম্পর্ক নিয়ে হ্যাকিংয়ের ঘটনায় সৌদি আরব বা ন্যাশনাল এনকোয়েরার জড়িত।
সৌদি আরবের জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ন্যাশনাল এনকোয়েরারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেজোসের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মাইকেল সানচেজের কাছ থেকে তারা তথ্য পেয়েছে, সৌদি আরবের কাছ থেকে নয়।
এবার ধারণা করা হচ্ছে, ন্যাশনাল এনকোয়েরারের প্রতিবেদনে মূল সূত্র মাইকেল সানচেজ। এমন সম্ভাবনা এখনও রয়েছে যে, সৌদি আরব হয়তো বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ের পিছনে থাকতে পারে। তবে সে বিষয়ে আপাতত কোনো প্রমাণ নেই।
Comments
So empty here ... leave a comment!