ad720-90

এসইও শিখুন: পর্ব ৩


‘এসইও শিখুন’ নামে ধারাবাহিকের আজ তৃতীয় পর্বে থাকছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল এবং বিং ওয়েব মাস্টার গাইডলাইনের বিভিন্ন নীতিমালা এবং ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে, সেসব বিষয়। এ বিষয়গুলো অনুসরণ করে আপনার ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনবান্ধব এবং সার্চ ইঞ্জিনের শাস্তি (পেনাল্টি) থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

গুগল ওয়েব মাস্টার গাইডলাইন

মূলনীতি বা বেসিক প্রিন্সিপালস:

ওয়েব পেজ তৈরি করুন ব্যবহারকারী বা ইউজারের জন্য, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়।
ব্যবহারকারীর সঙ্গে কখনো প্রতারণা করবেন না।
সার্চ ইঞ্জিন গাইডলাইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম ‍পদ্ধতি অনুসরণ করে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্কিং করার চেষ্টা করবেন না।
আপনি সব সময় ইউজারদের জন্য কনটেন্ট তৈরি করুন। আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে, আপনার কনটেন্ট টি কী ব্যবহারকারীর উপকারে আসবে? সার্চ ইঞ্জিন ছাড়া কী আপনার কনটেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ?
চিন্তা করুন যে, আপনি কী কী করলে ওয়েবসাইটকে আরও অনন্য বা ইউনিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও ব্যবহারবান্ধব করা যাবে।

কী কী জিনিস করা যাবে না:
অটোমেটিক জেনারেটেড কনটেন্ট তৈরি করা।
লিংক স্কিম ব্যবহার বা লিংকের অপব্যবহার করা।
টাইটেল অনুসারে কনটেন্ট তৈরি করা বা অন্য কারও কাছ থেকে কনটেন্ট কপি করে তা ব্যবহার করা।
ক্লোকিং করা বা সার্চ ইঞ্জিনকে একধরনের কনটেন্ট আর ইউজারকে আরেক ধরনের কনটেন্ট দেখানো।
হিডেন টেক্স বা লিংক ব্যবহার করা।
ডোরওয়ে পেজ করা-সুনির্দিষ্ট সার্চের জন্য পেজ তৈরি করা, যাতে র‌্যাঙ্ক করে এবং সার্চ থেকে ভিজিটর পাওয়া যায়।

বিং ওয়েব মাস্টার গাইডলাইন

বেসিক প্রিন্সিপালস:
ক্লিয়ার, ডিপ, এনগেজিং এবং সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় এমন কনটেন্ট তৈরি করা।
পেজের টাইটেল ক্লিয়ার ও কনটেন্টের সঙ্গে মিল রাখা।
লিংককে বিং সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্ক পপুলারিটি হিসেবে দেখে এবং অরিজিনাল লিংকের জন্য রিওয়ার্ড প্রদান করে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিটি ও সোশ্যাল শেয়ার কে পজিটিভ সিগন্যাল হিসেবে কাউন্ট করা হয় এবং তা অরগানিক র‌্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে।
সাইটের পেজ স্পিড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি ও র‌্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে।
অল্টার ট্যাগ (Alt Tag) এর ব্যবহার, যাতে ইমেজ ও কনটেন্ট সম্পর্কে বিং সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে।

কী কী জিনিস করা যাবে না:
যেসব পেজে অনেক অ্যাড ও অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে, রি-ডাইরেক্ট করে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় এবং যেগুলোর কোনো র‌্যাঙ্ক নেই, এতে স্বাভাবিক লিংক বিল্ডিং করা যাবে না।
লিংকের অপব্যবহার করা, লিংক কেনা, লিংক স্কিম ব্যবহার করা যার ফলে ওয়েবসাইট ডি-ইনডেক্স করা হয়।
সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের ব্যবহার করে ইউআরএল তৈরি করা, কোনো প্যারামিটার ফলো না করা, ডুপ্লিকেট কনটেন্ট ব্যবহার করা।
ইউআরএলে সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে বড় করা, বেশি কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা, কোনো সংখ্যা ব্যবহার না করা
কেনা লিংকে জাভাস্কিপ্ট/ফ্ল্যাশ/সিলভার লাইট কনটেন্টের ব্যবহার করা।
ডুপ্লিকেট কনটেন্টের ব্যবহার।
কিওয়ার্ড স্টাফিং।
ক্লোকিং-সার্চ ইঞ্জিনকে একধরনের কনটেন্ট আর ইউজারকে আরেক ধরনের কনটেন্ট দেখানো।

ইউজারদের কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইট করা

এসইওর জন্য সার্চ ইঞ্জিন গাইডলাইন ফলো না করে কোন শর্টকাট পদ্ধতির মাধ্যমে র‍্যঙ্ক পাওয়া সম্ভব নয়। আপনি যদি ইউজার ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট ও সাইট তৈরি করেন এবং তা যদি ইউজারদের চাহিদা পূরণ করে, তবেই আপনার সাইটটি দীর্ঘ মেয়াদে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্ক করবে।

উদাহরণস্বরূপ: ইউজার তার প্রয়োজনে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে থাকে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত রেজাল্টে ক্লিক করে। আর এ ধরনের রেজাল্টে আপনার সাইটিকে রাখতে হলে অবশ্যই ইউজারদের কথা মাথায় রাখতে হবে।

যেমন, আপনি যদি কোনো রেস্টুরেন্টের সাইট করেন, তবে ইউজার কোনো কোনো কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করতে পারে এবং কি ধরনের তথ্য চাচ্ছে তা মাথায় রাখতে হবে এবং যাতে কোনো ইউজার রেস্টুরেন্ট রিলেটেড কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিয়ে আপনার সাইটিকে খুঁজে পায় এবং সঠিক তথ্যটি পায় সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।

এসইওর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, কী কী কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছে এবং কোনো কোনো বিষয়ে আপনাকে কনটেন্ট সাইটে দিতে হবে।

কিছু পরিচিত ব্যবহারকারী কমন ইউজারদের চাহিদার ধরন দেখুন:

ইনফরমেশনাল/তথ্যমূলক: তথ্যর জন্য সার্চ করা।

উদাহরণস্বরূপ: “Which mobile phone is best for selfie”

ন্যাভিগেশানাল: নির্দিষ্ট কোনো কিছুর জন্য সার্চ করা।

উদাহরণস্বরূপ: “Prothom Alo”, “Google”, “I Phone”।

ট্রানজেকশনাল/লেনদেনগত: কোনো কিছু কেনার জন্য সার্চ করা।

উদাহরণস্বরূপ: “Online shopping in BD”।

আরও পড়ুন:
এসইও শিখুন: পর্ব ১
এসইও শিখুন: পর্ব ২





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar