ad720-90

তিউনিসিয়ায় লকডাউন নিয়ন্ত্রণে রোবট পুলিশ


তিউনিসিয়ার রোবট পুলিশ। ছবি: এএফপিতিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে লোকজন লকডাউন মানছে কি না, তা নিশ্চিত করতে একটি পুলিশ রোবট মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে রাস্তায় চলাফেরা করতে দেখলে এই গোয়েন্দা নজরদারির যন্ত্র তার কাছে গিয়ে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করবে।

রোবট পুলিশের হাত থেকে নিস্তার পেতে আইডি কার্ড বা অন্যান্য কাগজপত্র দেখাতে হবে। রোবটে যুক্ত ক্যামেরায় মাধ্যমে রোবট পরিচালনাকরী পুলিশ সদস্যরা সে কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখবেন।

ভাইরাস সংক্রমণের শিকার দেশটি লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করছে। ইতিমধ্যে এখানে ১৪ জন করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন। দেশটিতে সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হলেও ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের কত রোবট ‘পি-গার্ড’ মোতায়েন করেছে, সে তথ্য প্রকাশ করেনি। ইভোনা রোবোটিকসের তৈরি রোবটগুলোর দামও প্রকাশ করা হয়নি। এর নির্মাতারা বলছেন, রোবট মোতায়েন ও দামবিষয়ক তথ্যগুলো তাদের গোপনীয়। চারটি চাকাযুক্ত পি–গার্ড রোবটে থার্মাল-ইমেজিং ক্যামেরা ও লাইট ডিটেকটিং অ্যান্ড রেঞ্জিং (লিডার) প্রযুক্তি রয়েছে। এতে বেতার তরঙ্গের পরিবর্তে আলোকতরঙ্গ ব্যবহার করে রাডারের মতো কাজ করে।

অনেকেই রোবট মোতায়েনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ কেউ অবশ্য একে বাস্তবিক কাজের ক্ষেত্রে অনেক ধীরগতির বলে মন্তব্য করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ওই রোবটের কার্যক্রমের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রোবটটি এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেছে, তিনি কেন বাইরে এসেছেন? লকডাউনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কি না? এর জবাবে ওই ব্যক্তি সিগারেট কিনতে বাইরে বের হওয়ার কথা বলেছেন। রোবটটি অবশ্য তাতে বাধা দেয়নি। দ্রুত কাজ সেরে বাসায় ফিরে যেতে বলেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইভোনার গ্রাহক ছিল। এখন চিকিৎসা খাতে প্রয়োজনীয় রোবট তৈরির কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে সেখানে রোবোটিক প্রযুক্তি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়তে দেখা গেছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar