ad720-90

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যেতে দ্বিতীয় চেষ্টায় বোয়িং


গত বছর ডিসেম্বরে মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো স্টারলাইনার মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে বোয়িং। মানবশূন্য ওই অভিযানটি পরিকল্পনা মতো হয়নি। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে মহাকাশযানটি তখন আইএসএস-এ পৌঁছাতে ব্যার্থ হয়।

সোমবার বোয়িং বলেছে, নাসার ‘কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে নভোচারী ছাড়াই আবারও স্টারলাইনার মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানোর চেষ্টা করবে প্রতিষ্ঠানটি– খবর প্রযুক্তি সাইট সিনেটের।

২০১১ সালে মহাকাশ শাটল প্রকল্প শেষ হওয়ার পর মার্কিন ভূমি থেকে মহাকাশে যায়নি কোনো নভোচারী। কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবারও মার্কিন ভূমি থেকে নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে নাসা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে বোয়িং, ব্লু অরিজিন এবং স্পেসএক্স-এর মতো মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বোয়িং বলেছে, “স্টারলাইনার ব্যবস্থার মান দেখাতে আমরা ‘অর্বিটাল ফ্লাইট টেস্ট’ পুনরায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরেকটি মানবশূন্য ফ্লাইট পাঠানোর মাধ্যমে আমরা পরীক্ষার সবগুলো লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো এবং দ্বিতীয় স্টারলাইনারের কার্যকরিতা যাচাই করতে পারবো।”

স্টারলাইনারের প্রথম পরীক্ষায় বেশ কিছু সফটওয়্যার এবং যোগাযোগ ত্রুটি বের হয়েছে বোয়িং এবং নাসার যৌথ তদন্তে। ওই ত্রুটিগুলোর কারণে আইএসএস-এ পৌঁছানোর আগেই অভিযান বাতিল করা হয়। তবে, ভূমিতে থাকা ক্রুদের চেষ্টায় ঠিকমতোই পৃথিবীতে ফিরেছে মহাকাশযানটি।

এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানায়নি বোয়িং এবং নাসা। নভোচারী পাঠানোর জন্য নাসা স্টারলাইনার ব্যবহার করতে চাইলে মানবহীন এই পরীক্ষায় অবশ্যই পাশ করতে হবে বোয়িংকে।

কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে স্পেসএক্সও। মে মাসের শুরুতেই নাসার দুইজন নভোচারী নিয়ে উৎক্ষেপণ করবে প্রতিষ্ঠানের ড্রাগন ক্যাপসিউল। এদিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বোয়িং।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar