করোনাভাইরাস: দিনে এক কোটি ৮০ লাখ ‘স্ক্যাম মেইল’ গুগলে
বর্তমানে মোট জিমেইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০ কোটি। গত সপ্তাহে গুগলের পর্যালোচনা করা স্ক্যাম মেইলের প্রতি পাঁচটির একটিতে ‘করোনাভাইরাস’-কে পুঁজি করা হয়েছে । গুগল বলছে, করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে যতো ফিশিং মেইল আসছে, এর আগে অন্য কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেমনটা হয়নি। — খবর সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র।
অনেকক্ষেত্রেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো বড় প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশে জিমেইল ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানো হচ্ছে ওই ফিশিং মেইলগুলো। এগুলোর কোনোটিতে সফটওয়্যার ডাউনলোডের কথা বলা হচ্ছে, আবার কোনোটিতে জিমেইল ব্যবহারকারীকে ভুয়া কোনো তহবিলে দান করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এরকম মেইলের ৯৯ শতাংশই গুগলের মেশিন-লার্নিং টুল ঠেকিয়ে দিতে পারছে বলে দাবি করেছে গুগল।
করোনাভাইরাসকে বিষয় বানিয়ে পাঠানো ফিশিং মেইলের হিসাব রাখছে অন্যান্য একাধিক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাও। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা বারাকুডা নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, মহামারীর সময়ে ম্যালিশাস ফিশিং মেইল পাঠানোর মাত্রা ৬৬৭ শতাংশ বেড়েছে। সরকার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংস্থা, সুনির্দিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নামেও ভুয়া মেইল ও মেসেজ পাঠিয়েছেন জালিয়াতরা।
“ফিশিং আক্রমণের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যে কোনো ঘটনার কথা এমন আবেগ জড়িয়ে বলা হয় যে ব্যবহারকারী ওই সময়ে কিছু করার আগে সময় নেন কম বা বেশ দ্রুত কিছু করে বসেন”। – বলেছেন স্বাধীন নিরাপত্তা গবেষক স্কট হেলম।
হেলম আরও বলছেন, “বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারী খুবই আবেগপূর্ণ একটি বিষয় এবং এটি সাইবার-অপরাধীরাও জানে। তাদের আশা, গতানুগতিক কোনো মানুষ হয়তো এই বিষয়টির মাধ্যমে কোনো লিংকে ক্লিক করতে বা খারাপ নির্দেশনা অনুসরণ করতে বেশি আগ্রহী হবেন”।
Comments
So empty here ... leave a comment!