ad720-90

আইন ছাড়া ‘ট্র্যাকিং’ মানা: ইসরায়েলি আদালত


প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, কোনো আইন ছাড়া ফোন ট্র্যাকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনগুলো পিটিশন করে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। ওই পিটিশন গ্রহণ করে সরকারকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিলো ইসরায়েলি আদালত।

এ বছরের মার্চে করোনাভাইরাস মহামারীর মুখে জরুরী এক নীতিমালায় সম্মতি দেয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু’র প্রশাসন। সম্মতি পাওয়ায় সেলুলার ডেটার মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্তদের ট্র্যাক করা শুরু করে ইসরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি বা শিন বেট তাদের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা সেবা শাখার মাধ্যমে।

প্রযুক্তিটি এর আগে সন্ত্রাস দমনে ব্যবহার করতো ইসরায়েল। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তির ডেটা অবস্থান নির্ণয় ও  সতর্ক করার কাজে ব্যবহার করছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনগুলো, তারা আদালতে পিটিশন করে কোনো আইন ছাড়া এভাবে মানুষকে ট্র্যাক করার বিষয়টি নিয়ে।   

আদালত ওই পিটিশন গ্রহণ করে রোববার জানায়, ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষের ফোন ট্র্যাক অব্যাহত রাখতে চাইলে এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে আইন প্রণয়ন শুরু করতে হবে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আইন প্রণয়ন সম্পন্নও করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে আদালতের ভাষ্য হচ্ছে, “যারা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি চায় না, কোনো অনুমতি ছাড়া তাদেরকে নজরদারিতে রাখতে প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সেবা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্র কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, এজন্য একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প তৈরি করতে হবে যা গোপনতা মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে”।            

আদালতে পিটিশন দায়ের করা দলগুলোর একটি ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর সিভিল রাইটস ইন ইসরায়েল’ (এসিআরআই) এ রায়কে জয় হিসেবেই দেখছে। টুইটারে এসিআরআই লিখেছে, “ইসরায়েলের উচিত হবে না একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়া যারা নিজেদের গোপন নিরাপত্তা সেবা নাগরিকদের নজরদারিতে রাখতে ব্যবহার করছে, এমনকি করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ের সময়টিতেও না”।

এদিকে, আদালতের সিদ্ধান্তে ‘শঙ্কা বোধ’ করছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের জ্বালানী মন্ত্রী ইউভাল স্টাইনেটজ, কারণ শিন বেট “মহামারীর প্রকোপ কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে ফেলতে সহায়তা করছে, ফলে ইসরায়েলি নাগরিকরা নিজেদের চলাফেরা ও পেশার স্বাধীনতা ফেরত পাচ্ছেন”।

ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি, আর এতে মারা গেছেন ২০১ জন। প্রয়োজনে প্রায় একশ’ জন কোভিড-১৯ রোগীকে ভেন্টিলেটর সেবা এবং দুই হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা্ রেখে দেশটিতে বিধিনিষেধ শিথিল করছে সরকার। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar