করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন উৎপাদনে রেকর্ড ধসের ইঙ্গিত
কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সরবরাহ চেইনগুলো পুনরায় চালু হচ্ছে। তারপরও স্মার্টফোনের উৎপাদন ১৬.৫ শতাংশ কমে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ইউনিটে দাঁড়াবে বলে ধারণা করছে ট্রেন্ডফোর্স– খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এই প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে কোন প্রতিষ্ঠানগুলো শীর্ষে থাকবে তারও একটি ধারণা দিয়েছে ট্রেন্ডফোর্স। প্রতিষ্ঠানের ধারণা স্যামসাং এবং অ্যাপল আগের মতোই প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে থাকবে। তবে, চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বাজারের দখল অনেকটাই হারাবে এই দুই স্মার্টফোন জায়ান্ট।
করোনাভাইরাসের কারণেই চলতি বছর মার্চ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশ। এবার তা আরও কমবে বলেই আভাস দিয়েছে ট্রেন্ডফোর্স।
প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, চলতি বছর মোট স্মার্টফোন উৎপাদন হবে ১২৪ কোটি, যা গত বছরের ১৩৫ কোটি স্মার্টফোনের চেয়ে ১১.৩ শতাংশ কম।
ট্রেন্ডফোর্স বলছে, “বৈশ্বিক অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে মহামারী এখন স্মার্টফোন বাজারের চাহিদার দিকে প্রভাব ফেলছে।”
সম্ভবত বৃহস্পতিবারই মার্চ প্রান্তিকের ফলাফল জানাবে অ্যাপল। ইতোমধ্যে চীনে আইফোন ১১-এর দামও কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে শুধু চীনেই বিক্রয় কেন্দ্র খোলা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রেন্ডফোর্সের ধারণা, মার্চ প্রান্তিকে আইফোনের উৎপাদন প্রায় নয় শতাংশ কমে তিন কোটি ৮০ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। জুন প্রান্তিকে উৎপাদন আরও ২০ লাখ ইউনিট কমতে পারে।
আগের প্রান্তিকের চেয়ে এই প্রান্তিকে স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের দখল ১৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ১২.৬ শতাংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে ট্রেন্ডফোর্স।
অন্যদিকে জুন প্রান্তিকে স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের দখল তিন শতাংশ কমে ২০.৩ শতাংশে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিষয়ে ট্রেন্ডফোর্স বলছে, “দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ভারতের বাজারে স্যামসাংয়ের উপস্থিতিতে ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে চীনা ব্র্যান্ডগুলো।”
দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোবাইল ব্যবসা লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কমবে বলে বুধবারই সতর্ক করেছে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটি।
Comments
So empty here ... leave a comment!