ad720-90

ভারতে সব কর্মজীবীর জন্য ট্রেসিং অ্যাপ ‘বাধ্যতামূলক’


গত মাসেই ‘আরোগ্য সেতু’ নামের ওই ব্লুটুথ প্রযুক্তিনির্ভর ট্রেসিং অ্যাপ উন্মোচন করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার ভারতে লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন বাড়ালেও পাশাপাশি এটি শিথিল করার উদ্যোগও চলছে। সে কারণেই স্বল্প-ঝুঁকিতে রয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে লকডাউন “তুলনামুলক শিথিল” রাখা হবে। — খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার সব কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই”। অ্যাপটি ব্লুটুথ এবং জিপিএসভিত্তিক সিস্টেম। অ্যাপটি তৈরি করেছে ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার’। কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এলে বা পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে আগে দেখা হয়ে থাকলে ব্যবহারকারীকে সতর্কবার্তা পাঠাবে অ্যাপটি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “কর্মীদের শতভাগ অ্যাপটি ব্যবহার করছেন কিনা তা নিশ্চিত করার” দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানদের উপর বর্তাবে। ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং অ্যাপটির গোপনতা নীতিমালা নির্ধারক আইনিজীবি জানিয়েছেন, ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে ফলপ্রসু হতে অন্তত বিশ কোটি ফোনে থাকতে হবে অ্যাপটি।  

এরই মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্ল্যাটফর্মে প্রায় পাঁচ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। গুগল প্লে স্টোরের তথ্য অনুসারে, ভারতের ৫০ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর বাজারে আধিপত্য বিস্তারী অবস্থানে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড।

এদিকে, অ্যাপটির বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গোপনতা সমর্থকরা। অ্যাপটির ডেটা ব্যবহার প্রক্রিয়া এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তারা। গোপনতা সমর্থকরা আরও বলছেন, অ্যাপটিকে নিয়মে বাঁধতে পারবে এমন গোপনতা আইন নেই ভারতে।

এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান মোজিলা’র জন নীতি উপদেষ্টা উদ্ভাব তিওয়ারি বলেছেন, “এমন একটি পদক্ষেপের জন্য নিবেদিত একটি  আইন থাকা প্রয়োজন যা দৃঢ়ভাবে ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং স্বাধীন কোনো কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকবে”।

তবে, ভারত সরকার বলছে, সব ডেটা অজ্ঞাতনামা হিসেবে সংগ্রহ করায় কোনো গোপনতা লঙ্ঘন হবে না।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar