ad720-90

ট্রেসিং অ্যাপকে অবস্থান ট্র্যাক করতে দেবে না অ্যাপল-গুগল


শুধু জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে নিজেদের প্রযুক্তিটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল ও গুগল। — খবর রয়টার্সের।

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত মাসে জোট বাঁধার খবর জানায় অ্যাপল ও গুগল। বর্তমানে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ স্মার্টফোন হয় গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, না হয় অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেম চালিত। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা করোনাভাইরাস রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন কিনা বা যার সংস্পর্শে এসেছিলেন পরবর্তীতে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা ফলাফল পজিটিভ এসেছে কিনা তা জানতে সাহায্য করতে পারবে এমন প্রযুক্তি তৈরি করছে এ প্রতিষ্ঠান দুটি।

শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠান দুটি বলে আসছে গোপনতা নিশ্চিত করা এবং এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে সরকার যাতে নাগরিকের ডেটা সংরক্ষণ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করাই তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। ফলে অ্যাপল-গুগলের কনট্যাক্ট ট্রেসিং প্রযুক্তিটি ফোনের ব্লুটুথ তরঙ্গ ব্যবহার করে কাজ করবে, জিপিএস অবস্থান ডেটা ব্যবহার করবে না।

তবে, একাধিক মার্কিন অঙ্গরাজ্যের জন্য অফিশিয়াল করোনাভাইরাস-সংশ্লিষ্ট অ্যাপ তৈরি করে দেওয়া ডেভেলপাররা জানিয়েছেন, সংক্রমণ কীভাবে ছড়াচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো শনাক্তের জন্য নতুন কনট্যাক্ট ট্রেসিং সিস্টেমের সঙ্গে জিপিএস অবস্থান ডেটা জুড়ে দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে অ্যাপল-গুগলের কনট্যাক্ট ট্রেসিং প্রযুক্তি। কিন্তু খোদ জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষরাই এমন প্রক্রিয়ার ট্রেসিং অ্যাপ আনতে চাচ্ছেন, যাতে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের প্রয়োজন পড়বে।

অ্যাপল-গুগল প্রযুক্তির বিকল্প হিসেবে যে অ্যাপগুলো আনা হচ্ছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকঠাক তথ্য জানাবে না। কারণ চার্জ বাঁচাতে কিছু সময় পরপর ব্লুটুথ সংযোগ বন্ধ করে দেয় আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস। ব্যবহারকারী খেয়াল করে তা বারবার সচল করে না দিলে তথ্যের গ্রহণযোগ্যতার ব্যপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে না। অন্যদিকে, অ্যাপল ও গুগলের নতুন প্রযুক্তিতে ব্লুটুথ সংযোগ বন্ধ হবে না।

তারপরও, নিজ নিজ পন্থা অবলম্বনেরই পরিকল্পনা করেছে বেশ কিছু অ্যাপ নির্মাতা।

এরকম একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের জন্য অ্যাপ তৈরি করে দেওয়া সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান টোয়েন্টি। সোমবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন অ্যাপল-গুগল টুল ছাড়াই তাদের তৈরি অ্যাপ “কার্যকরভাবে চলছে।”

“যদি তাদের পন্থা আমাদের বর্তমান সমাধানের চেয়ে বেশি কার্যকর হয়, তাহলে বেশ আগ্রহ সহকারেই তাদের ফিচার আমাদের বিদ্যমান অ্যাপ্লিকেশনে যোগ করে নেবো, যদি তা আমাদের বর্তমান ও সম্ভাব্য স্বাস্থ্য অংশীদারদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মেলে”। – বলেছে টোয়েন্টি।

আর কানাডার এক অ্যাপ নির্মাতা তো জানিয়েই দিয়েছে যে, তাদের অ্যাপল-গুগল প্রক্রিয়া অবলম্বনের কোনো পরিকল্পনা নেই। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের ‘এবিট্রেসটুগেদার’ অ্যাপটি কোনো জিপিএস ডেটা সংগ্রহ করে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar