ad720-90

ফ্রান্সে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক নজরদারিতে এবার ক্যামেরা


ইতোমধ্যেই কানের রিসোর্ট সিটি কোত দ্য’যুর-এ নজরদারির সফটওয়্যার পরীক্ষা করেছে ফ্রান্স। খোলা বাজার এবং বাসে ক্যামেরা বসিয়েছে দেশটি– খবর বিবিসি’র।

কতোগুলো শহরে এই ডিজিটাল নজরদারি ব্যবস্থা চালু করবে দেশটি তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ফরাসি প্রতিষ্ঠান ডাটাকাল্যাবের দাবি তাদের সফটওয়্যার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডেটা সুরক্ষা আইন মেনেই চলছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, “কোনো ছবি মজুদ বা স্থানান্তর হচ্ছে না, ব্যক্তিগত তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”

কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। জরুরী অবস্থার আইনের আওতায় চলছে এই টুলগুলো। গ্রাহকের গোপনতা আইন যাতে না ভাঙ্গে সেদিকে নজর রাখছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

ক্যামেরায় যদি ধরা পরে মাস্ক এবং শারীরীক দূরত্ব বজায় রাখার নীতিমালা মানছেন না কোনো ব্যক্তি, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে সতর্ক করবে নতুন ভিডিও ক্যামেরা নজরদারি ব্যবস্থা।

২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করা স্টার্টআপ ডাটাকাল্যাব জানিয়েছে, এই সফটওয়্যারে “ফেসিয়াল রিকগনিশন” ব্যবহার করা হয়নি, এবং এই ব্যবস্থায় কারও শনাক্তকারী ডেটা মজুদ করা হচ্ছে না।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, হাসপাতাল, স্টেশন, এয়ারপোর্ট এবং শপিং মলগুলোতে যে নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেগুলোতেও তাদের অ্যালগরিদম ব্যবহার করা যাবে।

১১ মে থেকে গণপরিবহন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে ফরাসি সরকার।

ক্রেতাদেরকে মাস্ক পরতে বলার অধিকার রাখবে দোকান এবং বাজারের কর্তৃপক্ষ। ক্রেতা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখছেন কিনা তাও নিশ্চিত করতে হবে।

কানের মেয়র ডেভিড লিজনার্ড বলেন, “এই প্রযুক্তি আমাদেরকে ব্যক্তি শনাক্ত করে দেয় না, কিন্তু গাণিতিক বিশ্লেষণা দিয়ে থাকে যা দরকারী তথ্য পেতে সহায়তা করে।”

কানের একটি বাজারে ভিডিও নজরদারি ব্যবস্থার পরীক্ষায় দেখা গেছে ৭০ শতাংশ ক্রেতা ইতোমধ্যেই মাস্ক পরছেন। সব বাসিন্দাকে বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে শহরটির।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar