অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তি ছাড়া কনট্যাক্ট-ট্রেসিংয়ে ‘ব্যর্থ’ কলোম্বিয়া
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে মহামারী আরও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপের জন্য এখন অনেক দেশই অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। কলোম্বিয়া সরকারও এখন বিকল্প প্রযুক্তি ছেড়ে একই পথে এগোচ্ছে।
‘করোনঅ্যাপ’ নিয়ে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলো কলোম্বিয়া সরকার। ২ মে পর্যন্ত অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন ৪৩ লাখ মানুষ। লক্ষণ নিয়ে জানানো এবং আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোথায় রয়েছেন ম্যাপে তাদের অবস্থান দেখানোর মতো ফিচারও রয়েছে অ্যাপটিতে।
কিন্তু গত মাসে উন্মোচনের কয়েক দিনের মধ্যেই অ্যাপটি ব্যর্থ হয়েছে কনট্যাক্ট-ট্রেসিং ফিচারে।
প্রাথমিকভবে পর্তুগিজ প্রতিষ্ঠান হাইপল্যাবস-এর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে কলোম্বিয়ার করোনঅ্যাপে। ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাইভিত্তিক এই প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন কলম্বিায়ান প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভিক্টর মুনোজ
ইতোমধ্যেই অ্যাপল এবং গুগলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে মুনোজের দল। প্রতিষ্ঠান দু’টির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণাও চালাচ্ছে তারা।
“সরকারকে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে এমন যেকোনো বিকল্প ব্যবস্থা যাচাই করাটা জরুরি,” বলেন মুনোজ।
অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়ানোর আগেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা, পরীক্ষা এবং আইসোলেশনে পাঠাতে সহায়তা করবে কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপগুলো। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র মনে করছে টিকা বের হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই অ্যাপগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করতে গত মাসেই জোটবদ্ধ হয়েছে মার্কিন দুই প্রযুক্তি মোড়ল অ্যাপল ও গুগল। কিন্তু অ্যাপে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি ব্যবহারের অসম্মতিও জানিয়েছে কিছু দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে।
অন্যদিকে প্রথমে বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও আবার অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে এমন দেশও রয়েছে। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপের প্রধান সিনেটরদের জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ ত্রুটির কারণে তার দল এখন অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে।
ইতোমধ্যেই অ্যাপল ও গুগল জানিয়েছে, তাদের ব্লুটুথভিত্তিক প্রযুক্তি অন্যান্য বিকল্প প্রযুক্তির চেয়ে নিরবিচ্ছন্নভাবে কাজ করবে। আর এতে গ্রাহকের কোনো শনাক্তকারী তথ্য বা লোকেশন ডেটা মজুদ করা হবে না।
এবারে বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারে কলোম্বিয়ার বিড়ম্বনা অ্যাপল এবং গুগলের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা আরও কিছুটা বাড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ভিক্টর মুনোজ রয়টার্সকে বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু শেখা গেছে।”
অন্যদিকে হাইপল্যাবস বলছে, এখনও অন্যান্য দেশের কনট্যাক্ট-ট্রেসিংয়ে নিজেদের প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!