ad720-90

স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করবে না এ৪ আকৃতির ফেইস শিল্ড


পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংকটের কারণে অনেক দেশ ও কমিউনিটি নিজ নিজ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ফেইস শিল্ড বানাতে শুরু করেছে। ‘থ্রিডি প্রিন্ট’ ও ‘লেজার কাট নকশা’ দুই প্রক্রিয়াতেই তৈরি হচ্ছে এগুলো। অনেকে ফেইস শিল্ডে ভাইসর হিসেবে এ৪ আকারের ট্রান্সপারেন্ট শিটও ব্যবহার শুরু করেছে। – খবর বিবিসি’র।

সাধারণত প্রজেক্টরে ‘অ্যাসিটেট’ হিসেবে দেখা মেলে এ ধরনের ট্রান্সপারেন্ট শিট। “মানুষ আসলে হাতের কাছে যা আছে, তা-ই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে”। – বলেছেন বিএসআই-এর পিপিই গ্রুপ সার্টিফিকেশন ব্যবস্থাপক নেথান শিপলি। তিনি আরও বলেছেন, “মাথার উপরের প্রজেক্টরের অ্যাসিটেট ব্যবহার করা সাময়িক সমাধান, কিন্তু অ্যাসিটেট পর্দার প্রস্থ যথেষ্ট নয়”।

“অনেকে বলে পিপিই না থাকার চাইতে যে কোনো পিপিই থাকা ভালো, কিন্তু আপনি যদি মনে করেন আপনি এমন কিছু পড়ছেন যা আপনাকে রক্ষা করবে, কিন্তু আদতে করলো না, আপনি আরও বেশি বিপদে পড়বেন”। – বলেছেন শিপলি। 

পিপিই ফেইস শিল্ড পরীক্ষার সময় তিনটি জিনিস দেখে বিএসআই-

১. কতোটা স্বচ্ছ্বভাবে ভাইসরের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে

২. হেডব্যান্ড পরিধি কতটুকু – মাথাব্যথার চাপ কমাতে

৩. কতটুকু জায়গা জুড়ে আছে – মুখের কতুটুকু বাহির পর্যন্ত হাঁচি/কাশি থেকে নিরাপদ 

ইউরোপিয়ান মানদণ্ড ইএন৬৬ অনুসরণ করে কাজ করে থাকে সংস্থাটি। মুখের কতটুকু পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকতে হবে, তা বলে দেওয়া আছে ওই মানদণ্ডে। অনেক নারী অবশ্য জানিয়েছেন যে ‘স্ট্যান্ডার্ড ইসু কিট’ মাথায় আঁটছে না তাদের।

এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২১টি ফেইস শিল্ড নকশায় সম্মতি দিয়েছে বিএসআই। বিভিন্ন গ্রুপ, ব্যবসা, সংস্থার কাছ থেকে মোট ৭০টি ফেইস শিল্ডের নকশা পেয়েছে সংস্থাটি। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য দুই থেকে তিন দিন সময় নিয়ে থাকে বিএসআই। 

তবে, ইউরোপিয়ান মানদণ্ড সম্পন্ন করলেও শুধু মহামারীর সময়টির জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, চিরস্থায়ী অনুমোদন পাচ্ছে না ফেইস শিল্ডগুলো।

প্রথম ধাপে অনুমোদন পেয়েছে দ্য রয়েল মিন্ট এবং ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যাম।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar