ad720-90

করোনাভাইরাস: লাভ ছাড়াই ফেইস শিল্ড বিক্রি করবে অ্যামাজন


পণ্যটি বানাতে প্রতিষ্ঠানের ড্রোন এবং হার্ডওয়্যার বিভাগের প্রকৌশলীরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছে অ্যামাজন– খবর বিবিসি’র।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বানাতে নিজেদের রিসোর্স কাজে লাগাচ্ছে, এমন প্রথম বড় মার্কিন প্রতিষ্ঠান নয় অ্যামাজন। ইতোমধ্যেই মার্চ মাসে হাসপাতালে ফেইস শিল্ড পাঠাতে শুরু করেছে অ্যাপল। ফেইস শিল্ড এবং অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম বানাতে নিজেদের উৎপাদন রিসোর্স ব্যবহার করেছে স্পেসএক্স, এইচপি এবং ফোর্ড।

অ্যামাজন বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার ফেইস শিল্ড অনুদান দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২০ হাজার সরবরাহ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে অ্যামাজন ওয়েবসাইটে খরচ মূল্যে ফেইস শিল্ড বিক্রির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্যও এটি কেনার সুযোগ থাকবে, যা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো করেনি।

বৃহস্পতিবার অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে ভিন্ন ভিন্ন বিক্রেতার কাছ থেকে আসা এই ফেইস শিল্ডগুলোর মূল্য ১২ থেকে ৩৫ মার্কিন ডলারের মধ্যে।

স্বাধীন বিক্রেতাদের মূল্য কমানো নিয়ে এর আগে সমালচনার মুখে পড়েছে অ্যামাজন। কিন্তু এবারে অ্যান্টি-ট্রাস্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংকটের সময় অ্যামাজনের প্রচেষ্টা সহায়ক হবে।

ওয়াশিংটন সেন্টার ফর ইকুইটেবল গ্রোথের বাজার ও প্রতিযোগিতা বিভাগের মাইকেল ক্যাদেস বলেন, “যারা অ্যামাজনের শিকারি আচরণ নিয়ে চিন্তিত, তারা হয়তো চিন্তিত থাকবেন, কিন্তু অনেক বেশি মানুষ খুশি থাকবেন কারণ এই সংকটের সময়ে পণ্যগুলো কম দামে বিক্রি করাটা নিশ্চিত করছে অ্যামাজন।”

অ্যামাজন বলছে, ওয়াশিংটনের একটি উৎসাহী ৩ডি প্রিন্টিং কমিউনিটির নকশার ওপর ভিত্তি করেই ফেইস শিল্ড বানানো হয়েছে। কিছুটা পরিবর্তন আনার পর এটির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ)।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar