ad720-90

অপটিক্যাল যোগাযোগে নতুন সম্ভাবনা


কর্কস্ক্রু আলো উচ্চতর অপটিক্যাল যোগাযোগের হারের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীতআধুনিক বিশ্ব ভালো যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহার দেখলেই এর প্রমাণ মেলে। ভিডিওর জন্য যা দরকার, তা হলো ডেটার ব্যাপক প্রবাহ, যা উচ্চক্ষমতার অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলোর ওপর নির্ভর করে।

শুনে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন, আসলে অপটিক্যাল যোগাযোগ খুব দক্ষ নয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি লেজার ‘অরবিটাল অ্যাঙ্গুলার মোমেন্টাম’ বা ওএএম নামের বিশেষ পদ্ধতিতে তথ্যের ঘনত্ব আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট আরসটেকনিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকেরা সম্প্রতি দেখিয়েছেন, বিশেষ ফোটোনিক যন্ত্র আলোর পাকানো স্পন্দন তৈরি করতে সক্ষম, যার অর্থ, তাদের বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় তরঙ্গ ঘূর্ণাকারে আবর্তিত হয়। এই গোলক আকৃতির মাইক্রোস্কোপিক ‘উনেবল ভার্টেক্স মাইক্রোলেজার’ দ্রুত অপটিক্যাল যোগাযোগের দিকে এক ধাপ অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

গবেষকেরা বলেন, সাধারণত তথ্য এনকোড করতে ব্যবহৃত তরঙ্গ পর্যায় এবং অ্যামপ্লিটিউডের মতো আলোর বৈশিষ্ট্যের বিপরীতে ভার্টেক্স ভিন্নভাবে আসে। এতে এক দশা থেকে আরেক দশায় যেতে ভুল কম হয়। এটি অপটিক্যাল ফাইবারের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

গবেষকেরা ওএএম সম্পর্কে বলেছেন, আলো এক ধরনের ‘কর্কস্ক্রু প্যাটার্নে’ ভ্রমণ করে। নীতিগতভাবে, আলো অসীমসংখ্যক ওএএম অবস্থা তৈরি করতে পারে। তবে এই ওএএম অবস্থা প্রতিটি পৃথক ও একটি অপরের চেয়ে আলাদা। এতে পরস্পর ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম। দ্রুত যদি আলোর ওএএম অবস্থা পরিবর্তন করা যায়, তবে কার্যকর উপায়ে তথ্য পাঠানো সম্ভব।

ওএএম দশার মধ্যে দ্রুত অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। গবেষকেরা এ সময় আলোর জন্য গোলক আকৃতির তরঙ্গ নির্দেশিকা তৈরি করেন।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের গবেষণা সফল হয়েছে, যা যোগাযোগের দুনিয়া বদলে দিতে পারে। তবে তাঁরা খুব শিগগিরই কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি স্থাপন করবেন, এখনো এমন পর্যায়ে নেই।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar