এই গ্রীষ্মে যে বইগুলো পড়ছেন বিল গেটস
ব্যক্তিগত ব্লগ ‘গেটস নোটস’-এর মাধ্যমে ওই তালিকা প্রকাশ করেছেন বিল গেটস। সোমবার গেটস নোটসের এক ব্লগ পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বর্তমানে আমার অধিকাংশ কথাবার্তা ও বৈঠকের বিষয়বস্তুতে থাকে কোভিড-১৯ এবং আমরা কীভাবে স্রোতের ধারা পাল্টে দিতে পারবো সে বিষয়টি নিয়ে। মানুষ আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে আমি কী পড়ছি বা দেখছি। কারণ মানুষ হয় মহামারী সম্পর্কে জানতে চায়, আর না হয় মনোযোগ অন্যদিকে নেওয়ার রাস্তা খোঁজে”।
বইয়ের পাশাপাশি এবার কিছু টিভি অনুষ্ঠান এবং চলচ্চিত্রের নামও তালিকাভুক্ত করেছেন বিল গেটস। এ ছাড়াও অনলাইনে ব্রিজ খেলছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চলুন এক নজরে দেখে নেই কোন বইগুলো রয়েছে বিল গেটসের ‘২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন বইয়ের তালিকা’তে।
১. দ্য চয়েস
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ‘অউশউইটজ’ থেকে বেঁচে ফেরা এডিথ ইভা ইগারের স্মৃতিচারণ। ওই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ১৬। পরবর্তীতে ইগার যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং একজন মনোবিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। গেটস নোটসের ব্লগ পোস্টে বিল গেটস লিখেছেন, “আমি মনে করি, বর্তমানে কীভাবে কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় সে ব্যাপারে তার দেওয়া পরামর্শে স্বস্তি অনুভব করবেন অনেকেই।”
২. ক্লাউড অ্যাটলাস
গেটসের তালিকায় রয়েছে ডেভিড মিচেলের ২০০৪ সালের ‘মাল্টি-প্লট’ উপন্যাস ক্লাউড অ্যাটলাস। বইটির সাহিত্য কাঠামো লকডাউনের সময় পাঠককে যথেষ্ট ব্যস্ত রাখতে পারবে। “এটি হচ্ছে সেই ধরনের উপন্যাস যা আপনি পড়ে শেষ করারও বহুদিন পর পর্যন্ত আপনাকে ভাবাবে এবং কথা বলাবে”।
৩. দ্য রাইড অফ আ লাইফটাইম
বব আইগারের লেখা স্মৃতিকথা। ২০১৯ সালে প্রকাশিত এই বইতে ডিজনির তত্ত্বাবধানের দিনগুলো সম্পর্কে লিখেছেন বব আইগার। বইটি প্রসঙ্গে বিলের ভাষ্য হচ্ছে, “কয়েক বছরের মধ্যে আমার পড়া সেরা ব্যবসা ভিত্তিক বইগুলোর একটি।”
৪. দ্য গ্রেট ইনফ্লুয়েঞ্জা
বইটি লিখেছেন জন এম. ব্যারি, ১৯১৭ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী নিয়ে। গেটস বলছেন, “বইটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আমরা এখনও অনেকগুলো একই ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাচ্ছি”।
৫. গুড ইকোনোমিকস ফর হার্ড টাইমস
এমআইটি অধ্যাপক এস্তার ডুফলো এবং অভিজিত ব্যানার্জির এই বইটি অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কথা বলেছে, বেশ কিছু ব্যাপারের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে। বইটির জন্য গত বছর নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন এস্তার ডুফলো ও অভিজিত ব্যানার্জি।
Comments
So empty here ... leave a comment!