ad720-90

সিঙ্গাপুরে ‘ইউভি’ আলোতে করোনাভাইরাস তাড়াচ্ছে রোবট


রোবটটি ‘আল্ট্রা ভায়োলেট ল্যাম্প’ বা অতিবেগুণী আলো ব্যবহার করে শুধু উপরিভাগ নয়, পৌঁছানো কষ্ট এমন ফাঁকা জায়গা বা বাতাস থেকেও জীবাণু সারাতে পারবে। ‘সানবার্স্ট ইউভি বট’ নামের ওই রোবটটি তৈরি করেছে পিবিএ গ্রুপ। — খবর রয়টার্সের।

পিবিএ গ্রুপের কর্ণধার ডেরিক ইয়াপ বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারী রোবটটিকে এমন একটি কাজে পরীক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে যে কাজটি “বিপদজনক, একঘেয়ে এবং নোংরা”।

“এটি বিপদজনক কারণ মানুষ আশপাশে থাকলে ইউভিসি দেওয়া উচিত নয়। একঘেয়ে – কারণ আপানাকে একটি স্থানে একই কাজ করতে বারবার যেতে হবে,. আর নোংরার কারণ কোভিড-১৯”। – বলেছেন ইয়াপ।

ইউভিসি বা আল্ট্রাভায়োলেট স্পেক্ট্রাম মানবদেহের ত্বক এবং চোখের জন্য ক্ষতিকর, এ কারণেই দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ফ্লুরোসেন্ট লাইটের মতো দেখতে রোবটের মাধ্যমে বিষয়টি শপিং মলে পরীক্ষা করে দেখছে ফ্রেজার্স প্রপার্টি রিটেইল। মল বন্ধ হওয়ার পর কাজ শুরু করছে ওই রোবট।

তারপরও আশপাশে মানুষ রয়েছে তা বুঝতে পারলেই কাজ বন্ধ করে দেয় রোবটটি। ওভাবেই প্রোগ্রাম করে রাখা হয়েছে একে। একবার কাজের রাস্তা ঠিক করা হয়ে গেলে নিজে থেকে পুরোটা জায়গা পরিষ্কার করবে ও পরে নিজেকে রিচার্জ করে রাখবে এটি।

ইয়াপ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়টিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত নিজেদের শ্রম প্রয়োজনীয়তা ও প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে নতুন করে ভেবে দেখা, এর মধ্যে রোবট-ও পড়ছে। “ভবিষ্যতে এগুলোর ব্যবহার বাড়বে”। – বলেছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত এ ধরনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধু একটি ‘সানবার্স্ট ইউভি বট’।  সামনে সিঙ্গাপুরের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের রোবট ছড়িয়ে দেওয়া পরিকল্পনা রেখেছে ফ্রেজার্স।

রোবটগুলোর দাম অবশ্য অনেক, প্রতিটির দাম পড়বে ৭০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার বা ৪৯ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।  চাইলে মাসে তিন হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের বিনিময়ে ধার করা যাবে রোবটটিকে। এভাবে ভাড়ার ভিত্তিতে হাসপাতাল ও আইসোলেশন কেন্দ্রে দেওয়া হবে কিছু রোবট।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar