ad720-90

নাসার ‘সস্তা’ ভেন্টিলেটর নির্মাতা তালিকায় তিন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান


শুক্রবার এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠান হলো আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড, ভারাত ফোর্জ লিমিটেড এবং মেধা সার্ভো ড্রাইভস প্রাইভেট লিমিটেড।

মাত্র ৩৭ দিনে নতুন এই ভেন্টিলেটরের একটি প্রোটোটাইপ বানিয়েছে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) প্রকৌশলীরা। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ৩০ এপ্রিল ভেন্টিলেটরটির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

নতুন এই ভেন্টিলেটরের নাম বলা হচ্ছে ভিআইটিএএল/ভাইটাল (ভেন্টিলেটর ইন্টারভেনশন টেকনোলজি অ্যাকসেসিবল লোকালি)। প্রথাগত ভেন্টিলেটরের সাত ভাগের এক ভাগ যন্ত্রাংশ লাগে উচ্চ-চাপের এই ভেন্টিলেটরটিতে। আর এই যন্ত্রাংশগুলো এখনও সরবরাহ চেইনে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নাসা।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহজ এবং অপেক্ষাকৃত সস্তা সমাধান নাসার এই ভেন্টিলেটর। পাশাপাশি কম ঝুঁকির রোগীদের বেলায় এই ভেন্টিলেটর ব্যবহারের মাধ্যমে বেশি ঝুঁকিতে আছেন এমন রোগীর জন্য প্রথাগত ভেন্টিলেটরগুলো ছেড়ে দেওয়া যাবে।

নাসা বলছে, নমনীয় নকশার কারণে খোলা মাঠের হাসপাতালগুলোর জন্যও কিছুটা বদলে নেওয়া যাবে এই ভেন্টিলেটর।

ভাইটালের পেটেন্ট এবং সফটওয়্যার রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (ক্যালটেক) অফিস অফ টেকনোলজি ট্রান্সফার অ্যান্ড কর্পোরেট পার্টনারশিপস-এর আওতায়। ডিভাইসটির জন্য বিনামূল্যের লাইসেন্স দেবে প্রতিষ্ঠানটি। নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ক্যালটেক।

ভাইটাল দলের সদস্য এবং জেপিএল অফিস অফ স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপস-এর ব্যবস্থাপক লিওন আলকালাই বলেন, “এই প্রযুক্তির লাইসেন্সের জন্য ভাইটাল দল অত্যন্ত উদগ্রীব।”

“আমাদের প্রত্যাশা এই প্রযুক্তি সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া এবং চলমান করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় একটি বাড়তি সমাধান নিয়ে আসা,” যোগ করেন আলকালাই।

ভেন্টিলেটর বানানোর জন্য এ যাবত ২১টি প্রতিষ্ঠান বাছাই করেছে নাসা। এর মধ্যে আটটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। ডাক্তার এবং চিকিৎসা ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ নিয়ে ভেন্টিলেটরটি বানিয়েছে নাসা।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar