এবার মার্কিন ফাইটার জেটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মানবশূন্য ড্রোন
মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক মানবশুন্য ফাইটার জেটের ব্যবহার শুরু করার দিকেই এগোচ্ছে দেশটি– খবর বিবিসি’র।
এই পরীক্ষাকে “সাহসী ধারণা” বলেছেন পেন্টাগনের জয়েন্ট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহ্যান।
মিচেল ইনস্টিটিউট ফর অ্যারোস্পেস স্টাডিজ আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে শ্যানাহ্যান বলেন, গত সপ্তাহের শেষেই প্রকল্প প্রধান এয়ার ফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির (এএফআরএল) ড. স্টিভ রজার্সের সঙ্গে ইমেইল আদান-প্রদান হয়েছে তার।
ড. রজার্স বলেছেন, “মানব পাইলটের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে প্রতিযোগিতায় নামানোর চেষ্টা করবে এএফআরএল দল।”
জেনারেল শ্যানাহ্যান বলেন, হয়তো “এখনই তারা অনেক বেশি এআই ব্যবহার করবে না”, কিন্তু মানুষ এবং মেশিন একসঙ্গে কাজ করায় শীঘ্রই “বড় পরিবর্তন আসবে”।
প্রথম এই প্রকল্পের ঘোষণা আসে ২০১৮ সালে। সে সময় প্রকল্পের লক্ষ্য ছিলো মানব পাইলটবিহীন একটি যুদ্ধ বিমান বানানো।
এখনও এই প্রকল্পের লক্ষ্য সেটি আছে কি না, এয়ারফোর্স ম্যাগাজিনের এমন প্রশ্নের জবাবে শ্যানাহ্যান বলেন, তিনি এটি জানেন না, কিন্তু এআইভিত্তিক ব্যবস্থা অন্যান্য উপায়েও ব্যবহার করা যেতে পারে।
“হয়তো ৬৫ ফুট ডানার কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয়, হয়তো অসাধারণ ক্ষমতার স্বয়ংক্রিয় ছোট কিছু,” বলেন এই তিন তারকা মার্কিন জেনারেল।
মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের পথ বের করাই এই প্রকল্পগুলোর লক্ষ্য।
পুরানো ব্যবস্থাগুলো “এক রাতেই হারিয়ে যাবে না” বলেও জানিয়ছেন শ্যানাহান। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, ভারসাম্য খুঁজতে হবে এবং কোন জায়গাগুলোতে এআই বেশি কার্যকর হবে তা বের করতে হবে।
শ্যানাহ্যান আরও বলেন, “সর্বশেষ আমি যে দাবি করতে চাই তা হলো, কয়েক বছরের মধ্যেই যুদ্ধ বিমান, এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং স্যাটেলাইট আর থাকছে না।”
Comments
So empty here ... leave a comment!