ad720-90

‘স্যামসাং যুবরাজ’ লি’র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আদালতে খারিজ


আদালতের রায়ে সাময়িক মুক্তি মিললেও পুরোপুরি মুক্তি পাননি লি। তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলিরা– খবর বিবিসি’র।

২০১৫ সালে স্যামসাংয়ের দুইটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান একত্রিকরণের মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্যামসাং গ্রুপের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে লি’র যে পরিকল্পনা ছিলো, ওই একত্রিকরণ তাতে সহায়তা করেছে, এমন আঁতাতের প্রমাণ পাওয়ায় আগেই জেল খেটেছেন লি।

ওই অপরাধের সঙ্গে নতুন আরও কিছু নতুন অভিযোগ যুক্ত হওয়ায় গত সপ্তাহে লি’র বিরুদ্ধে আদালতের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন সরকারি কৌঁসুলিরা। সোমবার রায় জানতে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন লি।

শুক্রবার লি’র বিরুদ্ধে কারসাজি করে শেয়ার মূল্য বাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এমন অভিযোগ কারও “সাধারণ জ্ঞানেও” আসার কথা নয় যে, এতে লি’র সংশ্লিষ্টতা ছিলো।

২০১৪ সালে বাবা লি কুন-হি’র হার্ট অ্যাটাকের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কার্যত তিনিই স্যামসাং সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন।

কেন এই মামলা?

২০১৭ সালে প্রথম গ্রেপ্তার হন লি। স্যামসাং গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে ঘুষ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগের পাশাপাশি তহবিল আত্মসাত এবং অন্যান্য অভিযোগে লিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত।

রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার আশায় পার্কের বন্ধু চই সু-সিল পরিচালিত দুইটি অলাভজনক সংস্থায় তিন কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদানের সত্যতা সে সময়ে পেয়েছে আদালত।

স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠান দু’টি ২০১৫ সালে একত্রিকরণের জন্য দক্ষিণ কোরীয় সরকারের অবসরভাতা তহবিলের সমর্থন দরকার ছিলো। প্রেসিডেন্ট পার্কের বন্ধুর অলাভজনক সংস্থায় ওই অনুদানের মাধ্যমে স্যামসাং এই সমর্থন পেয়েছে বলে আদালত নিশ্চিত হয়।

আদালতে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লি। অনুদানের কথা স্বীকার করলেও এর বদলে স্যামসাং কিছু দাবি করেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের অগাস্টে লিকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

ছয় মাস পর সাজা অর্ধেক করে লি’র কারাদণ্ড বাতিল করে সিউল হাই কোর্ট। এতে মুক্তি মেলে স্যামসাং উত্তরাধিকারির।

ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিস্ট আরো কিছু অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছে এবার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar