ad720-90

অ্যানোনিমাসের কবলে আটলান্টা পুলিশ বিভাগের ওয়েবসাইট


সম্প্রতি আটলান্টা পুলিশের হাতে মারা পড়েছেন আরেক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি রেইশার্ড ব্রুকস। ওই ঘটনার জবাব দিতেই আটলান্টা পুলিশের সাইট অফলাইনে নিয়ে যায় অ্যানোনিমাস। সাইটটি অফলাইনে যাওয়ার পর নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে জানায় বিশ্বের অন্যতম বড় এই হ্যাকার গোষ্ঠী। — খবর বিজনেস ইনসাইডারের।

এক টুইট বার্তায় অ্যানোনিমাস লিখেছে, “রেইশার্ড ব্রুকস হত্যার ঘটনায় আটলান্টা পিডি’র ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে অ্যানোনিমাস, আমরা দুই হত্যাকারীর গ্রেপ্তার দাবি করছি”।    

খুব বেশিক্ষণ অবশ্য সাইট অফলাইনে থাকেনি, রোববার মধ্য দুপুর নাগাদ সচল হয় সাইটটি।

শুক্রবার রাতে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে নিহত হন ২৭ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ব্রুকস।

আটলান্টায় ফাস্ট ফুড চেইনশপ ওয়েন্ডির একটি রেস্তোরাঁর সামনে পুলিশের গুলিতে ব্রুকসের মৃত্যু হয়। তাদের রেস্তোরাঁর সামনের রাস্তায় কেউ একজন গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছে, ওয়েন্ডির এক কর্মী ফোনে কর্তৃপক্ষকে এমনটি জানানোর পর পুলিশ সেখানে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তার শরীরে লাগানো ক্যামেরা ও একটি নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই তারা কথাবার্তা বলছিলেন, অ্যালকোহল (অথবা মাদক) পরীক্ষার সময় ব্রুকস সহযোগিতা করেন এবং তার কন্যার জন্মদিন নিয়ে কথাবার্তা বলেন।

কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা যখন ব্রুকসকে গ্রেপ্তার করতে যান, তখন ব্রুকস তার সঙ্গে ও ঘটনাস্থলে থাকা আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মুক্ত হয়ে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান দিয়ে দৌঁড় দেন, এ সময় তার হাতে পুলিশের একটি টেইজার গান ছিল বলে মনে হয়েছে।

রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দৌঁড়ানো অবস্থায়ই ব্রুকস পেছন দিকে ঘুরে তার পেছনে আসা পুলিশ কর্মকর্তার দিকে টেইজার গান তাগ করছেন আর ওই সময় দুই পুলিশের মধ্যে কোনো একজন গুলি করলে ব্রুকস সেখানেই পড়ে যান।

পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবর্ষণের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আটলান্টার পুলিশ প্রধান এরিকা শিল্ডস পদত্যাগ করেছেন। সন্দেহভাজন যে পুলিশ কর্মকর্তা ব্রুকসকে গুলি করেছেন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় উপস্থিত অপর পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়, পরে তা বর্ণবাদ ও পুলিশি নির্যাতন বিরোধী প্রতিবাদ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar