ad720-90

খবরের সূত্র হিসেবে টুইটারকে ‘টপকে যাবে’ ইনস্টাগ্রাম


বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এতোদিন ফেইসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে খবর ছড়াতো বেশি। ধীরে ধীরে ফেইসবুক ও টুইটারের মিছিলে শামিল হচ্ছে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো। বিবিসি’র এক নিবন্ধ বলছে, শীঘ্রই সংবাদ সূত্র হিসেবে টুইটারকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবে ফেইসবুক মালিকানাধীন ফটো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম।

সংবাদ সূত্র হিসেবে ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার ২০১৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। তরুণ বয়সীরা খবরাখবর পেতে এখন ইনস্টাগ্রামের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে ১৮-২৪ বছর বয়সীদের প্রায় এক চতুর্থাংশ  ইনস্টাগ্রাম থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ করেছেন।

তবে, সব সামাজিক মাধ্যম মিলিয়ে বলা যায়, এখনও খবরের সূত্র হিসেবে নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি প্ল্যাটফর্মগুলো।

মাত্র ২৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্যের সূত্র হিসেবে সামাজিক মাধ্যমের উপর আস্থা রাখতে পারছেন। প্রায় একই সংখ্যক জানাচ্ছেন, ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার হওয়া সংবাদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন তারা।

এদিক থেকে এখনও এগিয়ে রয়েছে সরকারি সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদ সংস্থাগুলো। খবরের ব্যাপারে প্রায় ৫৯ শতাংশ আস্থা রাখতে পারছেন সরকারি সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর উপর।

জরিপে অংশ নেওয়া এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন এবং এদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ২৫-এর নিচে, ১১ শতাংশ প্ল্যাটফর্মটিকে খবরের জন্য ব্যবহার করেন। সবমিলিয়ে টুইটারের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম।

প্রতিবেদনের প্রধান প্রণেতা নিক নিউম্যান বলেছেন, “ইনস্টাগ্রাম স্বল্প বয়সীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সহজে এবং ছবির মাধ্যমে বিক্রি হয় এমন খবর তাদের কাছে ভালো লাগে”।

এ ধরনের খবর সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনে সাহায্য করেছে, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন এবং করোনাভাইরাসের মতো খবরগুলো নিয়ে প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্টতা অনেক বেশি দেখা গেছে।             

নিউম্যান বলছেন, “ব্যাপারটি এমন নয় যে একটি আরেকটির জায়গা নিয়ে নেবে। তারা হয়তো ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করবে, আবার টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামও ব্যবহার করতে পারে”।

করোনাভাইরাস মহামারীর সময়টিতে সাময়িকভাবে সংবাদের উপর বিশ্বাসও বেড়েছে। সাংবাদিকদের জন্য ‘বিশ্বাস’ অন্যান্য সামাজিক সেবার মতো মূল্যবান একটি জিনিস। এটি তৈরি হতে অনেক সময় লাগে, কিন্তু সহজে ভাঙে। সামাজিক মাধ্যমের যুগে বিশ্বাস টিকিয়ে রাখাটা দিনকে দিন কঠিন হয়ে উঠেছে।

এ যুগে যখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ভাইরাল হয়, তখন নির্ভুলতা মারা পড়ে ‘ভাইরালে’র বেদীতে। সবমিলিয়ে ৪০টি দেশে জরিপ চালিয়ে জানা গিয়েছিল, মাত্র ছয়টি দেশের অধিকাংশ মানুষ “বেশিরভাগ খবরে প্রায় সব সময়ই” ভরসা রাখতে পারেন।

মাত্র ৩৮ শতাংশ জানিয়েছিলেন প্রায় সবসময় খবরের উপরের ভরসা রাখার কথা। আর ৪৬ শতাংশেরও কম জানিয়েছিলেন, তারা পছন্দের সংবাদ সূত্রের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন।

এ চিত্র পাল্টে যায় করোনাভাইরাস সংকট এসে হাজির হওয়ার পরপর। হুট করে সংবাদ সংস্থার উপর নির্ভর করতে শুরু করে মানুষ, আস্থাও বাড়ে তাদের ওপর।      

একই প্রশ্ন এপ্রিল মাসে একটু ঘুরিয়ে করার পর জানা যায়, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে সরকারি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সমাবস্থা রেখে সংবাদ সংস্থার উপর বিশ্বাসের মাত্রা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। তবে, এটি কমতে শুরু করেছে।

এ প্রসঙ্গে নিউম্যান বলেছেন, “আমরা যা দেখছি তা হচ্ছে উচ্চ মাত্রার বিশ্বাস – লকডাউনের সময়টিতে – গণমাধ্যম এবং সরকারের উপর। কিন্তু তারপরের কিছু জরিপ রয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যে ১১ পয়েন্ট কমেছে গণমাধ্যমের উপর বিশ্বাস”।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar