ad720-90

চালকের চোখে ঘুম, টেসলা চলছিলো দেড়শ' কিলো গতিতে!


পুলিশ বলেছে, আলবার্টায় যখন ঘটনাটির বিষয়ে আমরা জানতে পারি তখন গাড়ির সামনের দুইটি আসনই হেলানো ছিল এবং চালক ও যাত্রী  উভয়ই সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, পুলিশ যখন সতর্ক করতে জরুরি বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং অন্যান্য যানবাহনগুলো সরে গিয়েছে, তখন অটোপাইলটে থাকা টেসলা মডেল এস-এর গতি বেড়ে যায়।

ডিসেম্বরে আদালতের মুখোমুখি হবেন ব্রিটিশ কলোম্বিয়ার ২০ বছর বয়সী ওই টেসলা চালক।

প্রাথমিকভাবে ওই চালকের বিরুদ্ধে গতি বাড়ানোর অভিযোগ এবং ২৪ ঘন্টার জন্য তার লাইসেন্স বাতিল করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি চালনার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।

চলতি বছর জুলাই মাসে এডমন্টনের একশ’ কিলোমিটার দক্ষিণে পনোকার কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সার্জেন্ট দারি টার্নবুল বলেন, “গাড়ি কোন দিকে যাচ্ছে তা দেখার জন্য কেউ উইন্ডশিল্ডের দিকে তাকিয়ে ছিলো না।”

“মনে হচ্ছিলো গাড়িতে কেউ নেই, কিন্তু গাড়ির গতি বাড়ছিলো কারণ সামনের রাস্তা খালি ছিলো।”

“২৩ বছর ধরে আমি পুলিশে রয়েছি এবং বেশিরভাগ সময় ট্রাফিক আইন প্রয়োগ বিভাগে এবং আমি বাকশূন্য হয়ে গিয়েছি। আমি আগে কখনোই এমন ঘটনা দেখিনি,” যোগ করেন টার্নবুল।

বর্তমানে ‘লেভলে-টু’ অটোপাইলট সেবা দিচ্ছে টেসলা। এই ফিচারটির জন্য চালককে সতর্ক থাকতে হয় এবং স্টিয়ারিং হুইলে হাত রেখে প্রস্তুত থাকতে হয়।

এদিকে টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক আশা করছেন, চালকের অল্প সহায়তায় চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলো পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় হবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar