ad720-90

টুইচে ‘অ্যামাং আস’ খেললেন কংগ্রেসওম্যান ওকাসিও-কর্টেজ


বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানের জনপ্রিয় গেইম ‘অ্যামাং আস’ খেলেছেন ওকাসিও-কর্টেজ। লাইভ স্ট্রিমটিতে ‘ভিউ’ এসেছে চার লাখেরও বেশি। গেইম খেলার ফাঁকে অন্যান্য গেইমারদেরকে তার সঙ্গে যোগ দিতে এবং নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি তিনি।

মার্কিন কংগ্রেসে যে কয়জন নতুন প্রজন্মের তরুণ রাজনীতিবিদ আলোড়ন তুলে জয়ী হয়েছেন তাদের অন্যতম ওকাসিও-কর্টেজ। রেস্তোঁরার ওয়েইটার থেকে ২৯ বছর বয়সে প্রথম নির্বাচনেই তিনি কংগ্রেসওম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশদ্ভুত মার্কিনীদের বড় অংশ তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার।

অনেকে সাধুবাদ জানালেও, সমালোচনাও এসেছে ওকাসিও-কর্টেজ এর বিরুদ্ধে। সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন, “ইলেকশনিয়ারিং” করেছেন তিনি। এক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটিই মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে, কারণ তিনি “আসলেও খানিকটা গেইম খেলেন”।

গেইম শিল্প বিশ্লেষক ওমডিয়া’র লুইস শর্টহাউস বলেছেন, “আমার কাছে পুরো ব্যাপারটিই নিখাদ মনে হয়েছে। আমার মতে, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে ভোট দেওয়ার সচেতনতা বাড়ানোর কার্যকরী একটি উপায় এটি, বিশেষ করে ‘প্রজন্ম-জেড’ এর বেলায়, যাদের কাছে পৌঁছানোটাই কষ্ট।”

গেইম খেলার সময় অদৃশ্য রাজনীতিবিদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তাও ছুড়েছেন ওকাসিও-কর্টেজ। তাদেরকে সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, টুইচকে ব্যবহারের চেষ্টা করলে আরও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

‘অ্যামোং আস’ বর্তমানের জনপ্রিয় একটি গেইম। গেইমে অংশগ্রহণকারীদের একটি ভাঙা স্পেসশিপ মেরামতের কাজে নামতে হয়। আর তাদের মধ্যেই থাকে একজন ছদ্মবেশী। গেইমারদেরকে ওই ছদ্মবেশীকে খুঁজে বের করতে হয়, আর কেউ যদি ছদ্মবেশীর ভূমিকা পান, তাহলে ধরা পড়ার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হয়।

ওকাসিও-কর্টেজ মূলত স্ট্রিম শুরুই করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য ভোট চেয়ে। তিনি ওই সময় বলেছেন, “আমরা অবশ্যই নীলে ভোট দেবো। এজন্য আপনাদের যা যা জানা দরকার, তা জানাচ্ছি।”

স্ট্রিমে ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আরেক ডেমোক্রেট কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমার।

ভিডিওটিতে সর্বোচ্চ ভিউ এসেছে চার লাখ ৩৯ হাজার। কোনো একক গেইমারের টুইচ স্ট্রিমে আসা তৃতীয়-সর্বোচ্চ ভিউ এটি। এই রেকর্ডের শীর্ষস্থান এখনও ধরে রেখেছেন কানাডিয়ান র‌্যাপার ড্রেইক। তার ফোর্টনাইট খেলার লাইভস্ট্রিমটি দেখেছিলেন ছয় লাখেরও বেশি মানুষ।

সবমিলিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা স্ট্রিম করেছেন ওকাসিও-কর্টেজ। প্ল্যাটফর্মটিতে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার অনুসারীও পেয়েছেন তিনি। হিসেবে অন্যান্য রাজনীতিবদরা টুইচে তার চেয়ে পিছিয়েই রয়েছেন।

টুইচে ডেমোক্রেটিক সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের অনুসারী রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার। আর রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক লাখ ৪৩ হাজার। তবে, দুই জনই টুইচকে রাজনৈতিক বক্তব্য সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করেন, গেইমিংয়ের জন্য নয়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar