করোনাভাইরাস: এবার টুইটারে নিষিদ্ধ ডেভিড আইক
বিবিসিকে প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র বলেছেন, “করোনাভাইরাসের ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে টুইটারের নীতিমালা অমান্য করায় স্থায়ীভাবে ওই অ্যাকাউন্টটি বাতিল করা হয়েছে।”
মহামারী নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি পোস্ট করার অভিযোগে ছয় মাস আগে একই পদক্ষেপ ছিল ফেইসবুক এবং ইউটিউব।
৬৮ বছর বয়সী এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদের টুইটারের অনুসারি সংখ্যা ছিলো প্রায় তিন লাখ ৮২ হাজার।
এক ব্লগ পোস্টে আইক দাবি করেছেন, লিভারপুল শহরজুড়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ব্যবস্থার পাইলট প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে একটি টুইটের কারণেই তিনি নিষিদ্ধ হয়েছেন।
৫জি মোবাইল নেটওয়ার্ক ভাইরাসের বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত এবং একটি ইহুদি সংগঠনের সঙ্গে এটির সংযোগ রয়েছে বলে কয়েক মাস ধরেই মিথ্যা দাবি করে আসছিলেন আইক।
নব্বইয়ের দশক থেকেই ব্যতিক্রমধর্মী তত্ত্ব প্রচার করছেন আইক। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিস্তারের পর আবারও নজরে এসেছেন তিনি।
ভুয়া তথ্য ছড়ানো নিয়ে সাধারণ নিষেধাজ্ঞা ছিলো না টুইটারের নীতিমালায়।
জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে যে, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর দাবি এবং যাতে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে সে পোস্টের অনুমোদন দেবে না টুইটার। যে অ্যাকাউন্টগুলো বারবার এই নীতি অমান্য করবে সেগুলো স্থায়ীভাবে সরিয়ে ফেলা হবে।
আইকের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিলো বলে মত দিয়েছে বেশ কিছু সংগঠন।
আইকের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার পর টুইট বার্তায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট বলেছে, “মাসের পর মাস ধরে টুইটার তাকে কোভিড বিষয়ে বিপজ্জনক ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে।”
এর আগে আরেক ব্রিটিশ ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদ কেইট শেমিরানির অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ করেছে টুইটার।
Comments
So empty here ... leave a comment!