ad720-90

একশ’ বিলিয়ন ছাড়াবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি


এখন মানুষ অনলাইনে বাজার করছেন, সরাসরি বাসায় খাবারের সরবরাহ গ্রহণ করছেন, এমনকি বিনোদনের জন্যও অনলাইন বাজারের দ্বারস্থ হচ্ছেন। প্রতিবেদনটিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপিন্সের তথ্য উঠে এসেছে।

শুধু এ বছরেই চার কোটি নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এসেছে ওই অঞ্চল থেকে। সবমিলিয়ে ওই অঞ্চলের মোট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটির ঘরে। হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লিখিত অঞ্চলের ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই এখন অনলাইনে চলে এসেছেন। 

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর পাঁচ শতাংশ বিস্তৃত হয়েছে।

প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে গুগল, সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী ‘টেমাসেক হোল্ডিংস’ এবং বাণিজ্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘বেইন অ্যান্ড কো’।

“করোনাভাইরাস স্থায়ী এবং বড় মাপের ডিজিটাল অবলম্বন স্রোত নিয়ে এসেছে।” – উঠে এসেছে শিল্প প্রতিবেদনে।

করোনাভাইরাস লকডাউনে লাভবান হয়েছেন অনলাইন খুচরা বিক্রেতারা। কারণ মানুষ সংক্রমণের ভয়ে বাসা থেকেই পণ্য কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এ বছর ই-কমার্স ৬৩ শতাংশে উঠে এসে ছয় হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে, পর্যটন বাজার ৫৮ শতাংশ সংকুচিত হয়ে এক হাজার চারশ’ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। করোনাভাইরাস মহামারীর মুখে পর্যটন ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সিঙ্গাপুরের ইন্টারনেট অর্থনীতি ২৪ শতাংশ সংকুচিত হয়ে নয়শ’ কোটি ডলারে ঠেকেছে।

ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার বেলায় এ চিত্র ভিন্ন। দুই-অঙ্কের হারে বাড়ছে দেশ দুটির ইন্টারনেট অর্থনীতি। প্রতিবেদনে উল্লিখিত অঞ্চলের গড় ব্যবসায়িক মূল্যমান ২০২৫ সাল নাগাদ তিন গুণ হয়ে ৩০ হাজার নয়শ’ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকবে। ওই একই অনুমান গত বছর ছিল ৩০ হাজার কোটি ডলারের।

অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ শতাংশ বাড়ায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিশ্বের অন্যতম দ্রুত গড়ে উঠতে থাকা ইন্টারনেট বাজারে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল মনিটরিং সেবাদাতা অয়্যারসোশাল ডটকমের তথ্য অনুসারে, গোটা বিশ্বের চারশ’ ৭০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে তুলনা করে হিসেবটি জানানো হয়েছে, এক বছর আগের তুলনায় ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭.৪ শতাংশ বেড়েছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar