ad720-90

এক সপ্তাহের জন্য ‘ওএএনএন’ স্থগিত করলো ইউটিউব


‘ওয়ান আমেরিকা নিউজ নেটওয়ার্ক’ বা ওএএনএন ‘ওয়ান আমেরিকা নিউজ’ নামেও পরিচিত। রবার্ট হেরিং সিনিয়র প্রতিষ্ঠিত এ চ্যানেলটিকে উগ্র-ডান এবং প্রো ডনাল্ড ট্রাম্প কেবল চ্যানেলের তকমা দিয়েছে অনলাইন মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া। ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক সিটিতে নিউজ ব্যুরো রয়েছে চ্যানেলটির। এর প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে।

ইউটিউব বলেছে, “সতর্ক পর্যালোচনা শেষে আমরা ওএএনএন থেকে একটি ভিডিও সরিয়েছি এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত আমাদের ভুল তথ্য নীতিমালা ভাঙায় চ্যানেলটিতে একটি স্ট্রাইক পাঠিয়েছি।” ইউটিউবের নীতি অনুসারে, কোনো কনটেন্ট কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

“এ ছাড়াও ক্রমাগত কোভিড-১৯ ভুল তথ্য নীতি এবং অন্যান্য চ্যানেল মনেটাইজেশন নীতি ভঙ্গ করায় আমরা ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে চ্যানেলটিকে সরিয়ে দিয়েছি, এবং ইউটিউবের মনেটাইজেশন স্থগিত করেছি।” – বলেছেন ইউটিউব মুখপাত্র।

ওএএনএন এর ওই ভিডিওতে আসলে সুনির্দিষ্টভাবে কী বলা হয়েছিল, ইউটিউব কী দেখে চ্যানেল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়গুলো এখনও অজানা বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

বিদ্যমান কনটেন্টের জন্য মনেটাইজেশন আবার চালু করতে প্রতিষ্ঠানটিকে ফের আরেকবার ‘ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম’ (ওয়াইপিপি) এর জন্য আবেদন করতে হবে। ইউটিউবের এ প্রোগ্রামটির মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় প্ল্যাটফর্মটির বড় বড় চ্যানেলগুলো।

ইউটিউবে কোনো চ্যানেল স্থগিত হওয়ার পর, ওই চ্যানেল যদি সমস্যা সমাধান করে ফিরে আসে, তাহলে আবারও মনেটাইজেশন সুবিধা পায় তারা।

সিএনবিসি মন্তব্য করেছে, মঙ্গলবার ওএএনএন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মধ্য দিয়ে বড় একটি পদক্ষেপ নিল ইউটিউব। ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জিতেছেন এমন ভুল ও মিথ্যা বার্তাও প্রচার হয়েছিল চ্যানেলটি থেকে। অতীতে ওএএনএন প্রশ্নে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে ইউটিউবকে।

ইউটিউব যে ওএএনএন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তা প্রথমে জানিয়েছিল অ্যাক্সিওস।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar