ad720-90

আইনী সমর্থন নেই তবুও লন্ডনে বাড়ছে ই-স্কুটার


এক একটি ই-স্কুটারের দাম পড়ে চারশ’ ডলারের মতো। এ বাহনগুলোর গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার। লন্ডনের রাস্তায় ও সাইকেল লেনে এখন হরহামেশাই চোখে পড়ছে ই-স্কুটার।

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, যুক্তরাজ্যের বিধি অনুসারে, ই-স্কুটার পরীক্ষামূলকভাবে চালানো বা ভাড়া নিয়ে চালানো ছাড়া সড়কে এটি নামানো নিষেধ।

ই-স্কুটার প্রসঙ্গে ‘সিটি অফ লন্ডনের’ কর্মী এরিকা ক্লোস বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভীতি এবং পরিবেশবান্ধব হতে চাওয়ার ইচ্ছা তাকে ই-স্কুটার বেছে নিতে সাহায্য করেছে।

“এখন সবকিছু বিদ্যুতচালিত হয়ে উঠছে, সবার মতো একই দলভুক্ত হই-না-কেন এবং পরিবেশবান্ধবও হই সে সঙ্গে।” – বলেছেন এরিকা।

তিনি আরও বলেছেন, “সকালে কাজে যাওয়ার সময় টিউবে (লন্ডনের পাতাল রেল) অনেক ভীড় হয় এবং যতোদিন না আমি স্বস্তি অনুভব করছি, ওই অবস্থা থেকে দূরে থাকতে চাই।”

ক্লোস জানিয়েছেন, তিনি স্বানন্দেই ই-স্কুটারের বীমা খরচ বহন করবেন এবং চালক হিসেবে নিবন্ধিত হবেন। “আমার মনে হয়, এটিই সামনে এগোনোর উপায়, যদি এটি মোটর যান হতো।”

যুক্তরাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস মে মাসে ভাড়ায় চালিত ই-স্কুটারের পরীক্ষা কর্মকাণ্ড সামনে নিয়ে এসেছিলেন। আগামী বসন্তে লন্ডনে এটি শুরু হওয়ার হওয়ার কথা রয়েছে, লন্ডনের পরিবহন এ কথা বলছে।

অন্যান্য অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় ৩০টি পরীক্ষা কর্মকাণ্ড চলছে। ই-স্কুটার আইনত বৈধ করা হবে কি না, বা করলেও কোথায় করা হবে, তা নির্ভর করবে পরীক্ষার ফলাফলের উপর।

ই-স্কুটার প্রতিষ্ঠান ৮টেভ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইটজিক বেন আহারোন চাইছেন আইনের পরিবর্তন হোক, যাতে মানুষ সড়কে নিরাপদ বোধ করেন। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন- “কেন যুক্তরাজ্য মাইক্রো-মবিলিটি বৈধতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে না?”

স্কুটার চালক কোয়ামে ডার্কো-ওবিরি বলেছেন, এটি “অদ্ভুত” যে তিনি বৈধভাবে তার ই-স্কুটার নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না। “আমি খুবই নিরাপত্তা মেনে চলি, দেখুন আমি হেলমেট পরে আছি। আমি সবসময় প্যাড পরে নেই, এবং বাইক লেনে থাকি, কারণ এটি বাইক চালানোর মতোই নিরাপদ, আরও বেশি নিরাপদ।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar