ad720-90

পুরস্কার পেয়ে যেন থেমে না যাই: পলক


সোমবার আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত উইটসা
গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা
বলেন।

নাটোর থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “মহামারীর
সময়ে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিচারিক ও অন্যান্য কাজ গত সাড়ে ৯ মাস চালু রাখতে
পেরেছি, তার স্বীকৃতি এ পুরস্কারের মাধ্যমে পেয়েছি। উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য এ পুরস্কার
পেয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

“এ পুরস্কার পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যেন থেমে না যাই; বরং অনুপ্রাণিত হয়ে আরো
দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে কাজ করি।”

তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুকরণ না করে উদ্ভাবনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে
পলক বলেন, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে ‘ইনোভেশন, ডিজাইন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ
অ্যাকাডেমি’ বা আইডিয়া প্রকল্প গত ৪ বছরে ১৫১টি কোম্পানিকে সহযোগিতা দিয়েছে।

“শুধু অর্থায়ন নয়, মেন্টরিং থেকে অন্যান্য সহযোগিতাও করা হচ্ছে। ডিজিটাল
বাংলাদেশ বাস্তবে রূপান্তর হওয়ায় ১০ লাখ তরুণ-তরুণী বিভিন্ন আইটি খাতে যুক্ত আছে, রূপান্তর
না হলে এটি বাস্তব করা যেত না।”  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি
প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) গত নভেম্বরে উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড
পায়।

‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ এর পাবলিক
প্রাইভেট পার্টনারশিপ শ্রেণিতে রানার আপ হয় প্রকল্পটি।

‘কভিড ১৯ টেক সলিউশনস ফর সিটিজ অ্যান্ড লোকালিটিজ’ বিভাগে সিনেসিস আইটি
লিমিটেড ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্পও এবার বাংলাদেশ থেকে পুরস্কার পেয়েছে।

ইনোভেটিভ ই-হেলথ সলিউশনস বিভাগে মাইসফটের মাই হেলথ ভার্চুয়াল হসপিটাল অব
বাংলাদেশ, ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগে বিজয় ডিজিটালও পুরস্কার পেয়েছে।

মেরিট পুরস্কার হিসেবে ডিজিটাল অপরচুনিটি অর ইনক্লুশন বিভাগে নগদ এবং সাসটেইনেবল
গ্রোথ বিভাগে ডিভাইন আইটি লিমিটেডের প্রিজম ইআরপি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।

মালয়েশিয়ায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয় তিন দিনের ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অফ
ইনফরমেশন টেকনোলজি’ (ডব্লিউসিআিইটি) সম্মেলন। এর দ্বিতীয় দিন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

ডব্লিউসিআিইটির আগামী আয়োজন বাংলাদেশে হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে পলক বলেন,
“এ আয়োজনে দেশের উদ্বাবনী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আরো পুরস্কার পায় সেজন্য উদ্যেগে
নিতে হবে।”

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন,
“এই অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে যুব সমাজ। এ খাতে যাত্রা শুরু করে সফলতা অর্জন
করছি। ২০০৯ থেকে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে এগিয়ে যাচ্ছি।” 

অন্যদের মধ্যে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের
নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতীম দেব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar