ad720-90

গোপনতা: ভারতে প্রথম আইনি চ্যালেঞ্জে হোয়াটসঅ্যাপ


ভারতের আদালতে দাখিল করা ওই পিটিশনে এই নীতিমালায় পরিবর্তনকে গ্রাহকের ওপর নজরদারি এবং ভারতের নিরপত্তা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে৷

জানুয়ারির চার তারিখ ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, লোকেশন এবং ফোন নাম্বারসহ কিছু তথ্য ফেইসবুক, মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে শেয়ার করার অধিকার রয়েছে প্রতিষ্ঠানের৷

এমন ঘোষণার পর বিশ্বজুড়েই তোপের মুখে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ৷ এর মধ্যে ভারতও রয়েছে, যেখানে সেবাটির গ্রাহক সংখ্যা ৪০ কোটির বেশি৷

এই পরিবর্তনের ফলে তুরস্কেও বাধার মুখে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ৷ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এবং তার মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর চলতি সপ্তাহেই তদন্ত শুরু করবে দেশটির প্রতিযোগিতা বোর্ড৷

ভারতে ইতোমধ্যেই প্রতিদ্বন্দী সিগনাল এবং টেলিগ্রাম ইনস্টল করতে শুরু করেছেন অনেক গ্রাহক৷ ফলে গ্রাহকদের শান্ত করতে খরুচে বিজ্ঞাপনী প্রচারণার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের ওপর চাপ বাড়ছে৷

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতিমালা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট-এ দাখিল করা পিটিশনে আইনজীবী চৈতন্য রোহিলা বলেন, “এটি ভার্চুয়ালি একজন মানুষের অনলাইন কার্যক্রমের ৩৬০ ডিগ্রি প্রোফাইল দেখানোর মতো।”

পিটিশনের একটি কপির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, এতে বলা হয়েছে “হোয়াটস্যাপ ব্যবহারকারীদের ডেটা বিদেশি আইনের আওতায় অন্য দেশে শেয়ারিং, পাঠানো আর জমা করার মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।”

“হোয়াটসঅ্যাপ গোপনতা নিয়ে আমাদের মৌলিক অধিকার বিষয়ে তামাশা করছে।”

সম্প্রতি নিজেদের নতুন গোপনতা শর্তে রাজি হতে গ্রাহককে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে এনক্রিপটেড মেসেজিং সেবা হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটি। এই শর্ত অনুযায়ী ব্যবহারকারীদেরকে তাদের ডেটা হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুকের সঙ্গে শেয়ারে সম্মত হতে হবে।

পিটিশনে আরও বলা হয়, “এই ধরনের স্বেচ্ছাচারি আচরণ গণতন্ত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।”

শুক্রবার পিটিশনের অভিযোগ শুনবে দিল্লি হাই কোর্ট৷





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

kaspersky lizenz kaufen

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar