উদ্ভাবনই কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণের মূল চাবি: গেটস
চীনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারপার্সন গেটস নির্গমনের অনেক সূত্র নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে লোহা এবং সিমেন্ট কারখানা থেকে শুরু করে, মানুষের ধান চাষের প্রক্রিয়া, সার বানানো এবং গবাদি পশু পালন সব কিছুই ছিলো।
শূন্য নির্গমনে পৌঁছাতে এর কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেছেন গেটস।
গেটস আরও বলেছেন, “এই সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবন একটি চাবি।” এর মানে এই নয় যে, সহায়তার মাধ্যমে একটি মৌলিক গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খোলা, এখানে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো সস্তায় পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন উৎপাদন করা, যাতে পরিবেশবান্ধব লোহা বা পরিবেশবান্ধব সার বানানো যায়।
“আমরা নভেম্বরের গ্লাসগো সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি এবং উদ্ভাবনী টুল নিয়ে আরও আলোচনার আশা করছি।” উদ্ভাবন ছাড়া ধনী দেশেও এমনটা করতে পারবে না বলেও মনে করেন গেটস।
মঙ্গলবার ‘হাও টু অ্যাভয়েড ক্লাইমেট ডিজাস্টার: দ্য সলিউশন উই হ্যাভ অ্যান্ড দ্য ব্রেইকথ্রুস উই নিড’ নামে একটি বই প্রকাশ করছেন গেটস।
“আমার বইয়ে, এক দশকের বেশি সময় ধরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পড়াশোনা করে আমি যা জানতে পেরেছি এবং এই সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনে আমাদের বিনিয়োগের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি,” বলেন গেটস।
গেটসের প্রত্যাশা এই বইয়ের মাধ্যমে বিশ্ব একটি পরিকল্পনার মধ্যে আসবে যেখানে অনেক উদ্ভাবন, বিভিন্ন দেশের মধ্যে অনেক সহযোগিতা এবং অনেক উদ্ভাবনী নীতিমালা থাকবে।
সাক্ষাৎকারে গেটস বলেছেন, অবশ্যই বৈদ্যুতিক গাড়ির ভবিষ্যত রয়েছে, যদিও এখন অল্প সংখ্যক বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হচ্ছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে জেনারেল মোটর্সের জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত সব গাড়ি বানানো বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উদ্ধৃতি দিয়েছেন তিনি।
নতুন শক্তির খাতে গেটসের পারমাণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি পছন্দ বলেও জানিয়েছেন তিনি। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেহেতু আরও নিরাপদ এবং সস্তা হচ্ছে, এটির ভূমিকা থাকতে পারে, কারণ এটি সব সময় পাওয়া যায়, আবহাওয়া যাই হোক।
Comments
So empty here ... leave a comment!