ad720-90

‘অন্যায় না করেও’ অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা চায় টিকটক


বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, গ্রাহকের ভিডিওতে ‘ফেইশল ফিচার’ শনাক্ত করতে এবং গ্রাহকের বয়স, লিঙ্গ এবং জাতিগত পরিচয় শনাক্ত করতে অ্যালগরিদমের ব্যবহার করে টিকটক আইন অমান্য করেছে বলে মার্কিন আদালতে দায়ের করা মামলায় দাবি করেছে একটি দল।

গ্রাহকের ডেটা চীনে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে দলটি।

কোনো অন্যায়ের কথা স্বীকার না করলেও আদালতের মামলা এড়াতে প্রতিষ্ঠান অর্থ দিয়ে মীমাংসায় যেতে চাচ্ছে বলে দাবি টিকটকের।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রাহককে বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য বানাতে টিকটকের সংগৃহীত ফেইশল রিকগনিশন ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে।

বিবৃতিতে টিকটক বলেছে, “আমরা এই অভিযোগ মেনে না নিলেও, দীর্ঘমেয়াদী আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে না গিয়ে, আমরা টিকটক সমাজের জন্য নিরাপদ এবং উপভোগ্য অভিজ্ঞতা তৈরির চেষ্টায় নজর দিতে চাই।”

ফেডারেল বিচারক মীমাংসার অনুমোদন দিলে অর্থ মার্কিন টিকটক গ্রাহকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

টিকটক অ্যাপ গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য বা জিপিএস ডেটা জোগাড় করে কি না এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গ্রাহকের ডেটা মজুদ বা পাঠানো হয় কি না, সে বিষয়গুলোও নীতিমালায় স্পষ্ট করতে সম্মতি দিয়েছে বাইটড্যান্স মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রোপ্রাইভেসি’র ডিজিটাল গোপনতা বিশেষজ্ঞ রেই ওয়ালশ বলেছেন, “এই গোপনতা মামলায় টিকটক বড় অঙ্কের এই মীমাংসায় যেতে রাজি হয়েছে, কারণ তারা জানে তারা জিততে পারবে না।”

এর আগেও বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে একই ধরনের দাবি উঠেছে। ২০১৯ সালে তরুণ গ্রাহকের গোপনতা আইন অমান্য করে আরেকটি মামলা মীমাংসা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar