ad720-90

‘দয়া করে অনূর্ধ্ব ১৩ বয়সীদের জন্য ইনস্টাগ্রাম আনবেন না’


সোমবার ৪৪ জন অ্যাটর্নি জেনারেল ফেইসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গকে উদ্দেশ্য করে ওই অনুরোধ জানানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনএন।

ওই চিঠিতে তারা মানসিক স্বাস্থ্য ও গোপনতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য ইনস্টাগ্রামের পরিকল্পনা বাতিল করার আহ্বান জানান। শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন এবং কংগ্রেস একই উদ্বেগ প্রকাশ করার এক মাসেরও কম সময়ে এই চিঠিটি এলো।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার শিশুদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যারা সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।”

“এ ছাড়াও, ফেইসবুক ঐতিহাসিকভাবেই নিজের প্ল্যাটফর্মে শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলরা আমাদের শিশু নাগরিকদের রক্ষা করার বিষয়ে আগ্রহী। এবং ফেইসবুকের এই পরিকল্পনা যেখানে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের অনলাইনে কনটেন্ট শেয়ার করতে উৎসাহিত করা হয়, সেটি আমাদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।”

ফেইসবুক অবশ্য দাবি করেছে, এই জাতীয় পরিষেবা মা-বাবাদের তাদের সন্তানদের অনলাইন ক্রিয়াকলাপের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দেবে।

“প্রত্যেক মা-বাবা জানেন, বাচ্চারা ইতোমধ্যে অনলাইনে রয়েছে। ফেইসবুকের একজন মুখপাত্র সিএনএন বিজনেসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এমন অভিজ্ঞতা প্রদান করে এই পরিস্থিতির উন্নতি করতে চাই যা মা-বাবাদের দৃশ্যমানতা দেয় এবং তাদের সন্তানরা কী করছে তার উপর নিয়ন্ত্রণ দেয়।”

“আমরা শিশু উন্নয়ন, শিশু সুরক্ষা এবং মানসিক স্বাস্থ্য এবং গোপনতা প্রবক্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই বোঝাপড়ার জায়গাটি তৈরি করছি। আমরা দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলসহ নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গেও কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। উপরন্তু, আমরা আজ ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য তৈরি করা ইনস্টাগ্রামে কোনও বিজ্ঞাপন না দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

মুখপাত্র আরও বলেন, শিশুদের উপর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব আরও ভালভাবে বোঝার জন্য ফেইসবুক বোস্টন শিশু হাসপাতালের একটি নতুন ডিজিটাল ওয়েলনেস ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

ইনস্টাগ্রামের অনুর্ধ ১৩ বছর বয়সীদের জন্য সংস্করণ আনার পরিকল্পনা প্রথম জানায় বাজফিড। তারা ফেইসবুকের অভ্যন্তরীন এক মেমোর সূত্র ধরে বিষয়টি প্রকাশ করে। এরপর, মার্চ মাসে কংগ্রেসে শুনানির সময় জাকারবার্গকে তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রামের একটি সংস্করণ নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।

সে সময় জাকারবার্গ বলেন, প্ল্যাটফর্মটি এখনও “আমাদের চিন্তাভাবনার প্রথম দিকে” এবং “স্পষ্টতই ১৩ বছরের কম বয়সী অসংখ্য শিশু রয়েছে যারা ইনস্টাগ্রামের মতো পরিষেবা ব্যবহার করতে চাইবে।”

কিন্তু শিশুরা চাইলেই কি তাদের জন্য সেবা নিয়ে আসা যুক্তিযুক্ত?

“অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য কোন বিষয়টি উপযুক্ত, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা বিষয়বস্তুর স্থায়ীত্ব এবং অনলাইনে শেয়ার করা কনটেন্টের অ্যাক্সেস সম্পর্কে তাদের পুরোপুরি ধারণা নেই। অনলাইনে যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয়, সেগুলোর জটিলতা বোঝার জন্য তারা খুবই ছোট।” অ্যাটর্নি জেনারেলরা বলেছেন চিঠিতে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar