জাপানের করোনাভাইরাস টিকার নিবন্ধনব্যবস্থায় ধ্বস
দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ক্লাউড কম্পিউটিং মার্কিন প্রতিষ্ঠান সেলসফোর্স ডটকম-এর সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সমস্যার কারণে টোকিওর কিছু অংশ এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় মিনোহ শহর সহ অনেক জায়গায় টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনলাইন সিস্টেমটি অচল হয়ে গিয়েছে।
সেলসফোর্সের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পার্কার হ্যারিস টুইটারে বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠান “বড় ধরনের একটি সমস্যা” টের পেয়েছে। পরে আপডেটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, পরিষেবাগুলির বেশিরভাগই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
টুইটার ব্যবহারকারী @obachan66972352 লিখেছেন, “টিকার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা বয়স্কদের জন্য একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া বলেই মনে হচ্ছে।”
“দয়া করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করুন।”
এ বিষয়ে রয়টার্স যোগাযোগের চেষ্টা করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিকা অফিসের প্রতিনিধির নাগাল পায়নি সংবাদ সংস্থাটি।
গোটা মহামারী জুড়েই দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অসংখ্য প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একটি জটিল ডেটাবেইজ পাঠানোয় ব্যর্থতার মতো বিষয় রয়েছে। ওই ডেটাবেইজ ব্যবহারে স্বাস্থ্যকর্মীরাও অনিচ্ছুক ছিলেন।
জাপান এ পর্যন্ত তার জনসংখ্যার মাত্র ২.৮ শতাংশকে টিকা দিতে পেরেছে, যা ধনী দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন হার। এদিকে এক উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে দেশটির সরকার এগুনোর চেষ্টা করছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দেশটি তার তিন কোটি ৬০ লাখ বয়স্ক মানুষকে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ওই সময়েই টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের আসর বসার কথা।
ফাইজার-এর আমদানিকৃত ডোজের সরবরাহ কম থাকায় টিকা কার্যক্রম শুরুতেই ধীর গতির ছিল। এরপর থেকে জনবল এবং অন্যান্য কারিগরি ও সরবরাহ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে গোটা কার্যক্রম।
টিকার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তারো কোনো জনগণকে ধৈর্য ধরতে এবং বুকিং প্রক্রিয়াকে সুশৃঙ্খল করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাপানের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক তাকেডা ফার্মাসিউটিক্যাল-এর প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টোফ ওয়েবার মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন যে দেশটি তার টিকা দেওয়ার কার্যক্রমে পিছিয়ে আছে এবং গোটা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা দরকার।
Comments
So empty here ... leave a comment!