ad720-90

বাতিল হলো সামাজিক মাধ্যম নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ


শুক্রবার স্বাক্ষর করা ওই বাতিল আদেশ সম্পর্কে জানার জন্য রয়টার্স যোগাযোগ করলে তৎক্ষণাত হোয়াইট হাউসের সাড়া মেলেনি।

সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টেকনোলজি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। সংস্থাটি ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০২০ সালের মে মাসে স্বাক্ষর করা ওই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেনিল। মামলায় ডনাল্ড ট্রাম্পের ওই আদেশকে “ঘৃণামূলক বক্তব্য কোনো যাচাইবাছাই ছাড়াই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য” ভীতি প্রদর্শনের এক উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি।

ট্রাম্প চেয়েছিলেন ফেডারেল কমিউনিকেশন্স কমিশন (এফসিসি) নতুন নীতিমালা তৈরি করুক যার মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ‘কমিউনিকেশন্স ডিসেন্সি অ্যাক্ট’ এর মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীর মন্তব্যের বিষয়ে যে দায়মুক্তি পায় তার পরিধি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ওই আইনে একদিকে যেমন ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা কনটেন্টের জন্য সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মকে দায়ী করা সম্ভব হয় না, অন্যদিকে আইনসঙ্গত পোস্টও প্ল্যাটফর্ম চাইলে সরিয়ে দিতে পারে। তবে, ওই চেষ্টায় সফল হননি ট্রাম্প।

সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধ পুরোনো বিষয়। তবে, ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে আক্রমণের পর টুইটার তার অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়ার পর ট্রাম্প ওই আদেশ দেন।

মার্কিন ক্যাপিটলে ৬ জানয়ারির আক্রমণের পরপরই টুইটার এবং ফেইসবুক, দুটি প্রতিষ্ঠানই তাদের সাইটে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা বন্ধ করে দেয়। সে সময় এফসিসি প্রধান অজিৎ পাই বলেন, ট্রাম্পের কথা শুনে তিনি সামাজিক মাধ্যমের ওপর থেকে সুরক্ষা বলয়ে আঘাত করবেন না।

ফেইসবুক এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। টুইটার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৬ জানুয়ারির ঘটনার পরপরই ঘোষণা করা এক আদেশনামার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar