ইনটেল সিইও: সঙ্কট স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর লাগবে
তাইপেইয়ের কম্পিউটেক্স ট্রেড শোয়ের একটি ভার্চুয়াল সেশনে ইনটেল সিইও প্যাট গেলসিঙ্গার বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে বাসা-থেকে-কাজ এবং পড়ালেখার প্রবণতার ফলে “সেমিকন্ডাক্টরে চাহিদা বৃদ্ধির হার বিস্ফোরক আকারে” চলে গেছে যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে বিশাল চাপ ফেলেছে।
“কিন্তু শিল্প এই সমস্যার সমাধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিলেও গোটা বাস্তুতন্ত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর লেগে গেতে পারে।”
এর আগে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ওয়াশিংটন পোস্টকে এক সাক্ষাৎকারে গেলসিঙ্গার বলেছিলেন, এই ঘাটতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে “বছর দুয়েক” সময় লাগবে এবং মার্কিন গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘাটতি দূর করতে ইনটেল ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে চিপ উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।
মার্চ মাসেই ইনটেল উন্নত চিপ উৎপাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অ্যারিজোনায় দুটি কারখানা নির্মাণ এবং বাইরের গ্রাহকদের জন্য কারখানা খোলার জন্য দুই হাজার কোটি ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
“আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অন্যান্য স্থানে উৎপাদন ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি যাতে করে বিশ্বের জন্য সেমিকন্ডাক্টরের একটি টেকসই এবং সুরক্ষিত সরবরাহ চেইন নিশ্চিত করতে পারি।”
গেলসিঙ্গার অবশ্য এর কোনো বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
ইনটেলের এই পরিকল্পনা বিশ্বের অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করতে পারে, যারা সর্বাধুনিক চিপ তৈরি করছে – তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড।
দু’টি প্রতিষ্ঠানই সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছে। এই প্রতিষ্ঠান দুটিরই ক্ষমতা আছে এই শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু এই প্রযুক্তির জন্মভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে এশিয়ায় নিতে, যেখানে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অত্যাধুনিক চিপ এখন উৎপাদিত হয়।
Comments
So empty here ... leave a comment!