ad720-90

মামলা নিয়ে আদালতে কোণঠাসা অভিনেত্রী জুহি চাওলা


প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত উদ্বেগের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করেই মামলা দায়ের করার কারণে বিচারক জুহি চাওয়ালাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক কিন্দুস্তান টাইমস।

বিচারপতি জে আর মিধা বলেন যে বাদী, চাওলা এবং তার সঙ্গীদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রথমে সরকারের কাছে যাওয়া উচিৎ ছিল এবং সেখানে প্রত্যাখ্যাত হলেই কেবল তাদের আদালতে আসা উচিত।

জুহি চাওলার দয়ের করা ওই মামলায় দাবি করা হয়েছে, ৫জি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি মানবদেহে মারাত্মক ও অপরিবর্তনীয় প্রভাব ফেলে এবং এটি পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রে স্থায়ী ক্ষতি করে।

আদালত আরও বলেন, “এই অভিযোগ ত্রুটিযুক্ত। এই মামলাটি কেবল মিডিয়ায় প্রচারণা পাওয়ার জন্য করা হয়েছে। এতে এর চেয়ে বেশি কিছুই নেই, এবং এটা খুবই বিরক্তিকর। ”

“আপনি কি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সরকারের কাছে গিয়েছিলেন? যদি গিয়ে থাকেন, আপনারা কি সেখানে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন?” আদালতের জিজ্ঞাসায় বাদীরা না সূচক উত্তর দেন।

মামলার বিষয়াদি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বাদী বলেন, “আমার কাছে আর্জির ১ থেকে ৮ প্যারায় উল্লখিত বিষয়ে ব্যক্তিগত জ্ঞান আছে।”

জবাবে বিচারক বলেন, “আমি বিস্মিত! এটা কিভাবে হতে পারে? যখন মামলার বিষয়ে বাদী পক্ষের কোনও ব্যক্তিগত জ্ঞান না থাকে তখন কি মামলাটি গ্রহনযোগ্য হয়? আমি এমন মামলা দেখিনি যেখানে বাদী এসে বলে যে, আমি জানি না, আপনি দয়া করে তদন্ত করুন।”

আদালত এই বিষয়গুলিতে বাদীদের জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং মিথ্যা দাবি নিয়ে মামলা দায়েরের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন।

জুহি চাওলা, সমাজকর্মী বীরেশ মালিক এবং তিনা ওয়াচানির দায়ের করা মামলাটিতে দাবি করা হয়েছে, ৫জি পরিকল্পনা নিয়ে যদি টেলিকম শিল্প এগিয়ে যায় তবে পৃথিবীতে কোনও ব্যক্তি, প্রাণী, পাখি, কীটপতঙ্গ এবং গাছপালার পক্ষে ওই বিকিরণ এড়ানো সম্ভব হবে না। দিনে ২৪ ঘণ্টা, বছরে ৩৬৫ দিনই, বর্তমানের চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ আরএফ রেডিয়েশনের আওতায় আসবে সবাই।

বাদী পক্ষের আইনজীবী দীপক খোসলা বলেন, “মানুষের ওপর ৫জি প্রযুক্তির ট্রায়াল হয়েছে এবং মানুষ শূকর বা ইঁদুর নয়।”

সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের আইনজীবী অমিত মহাজন বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এমন বিষয়ের তালিকায় ৫জি’র উল্লেখ নেই, এবং এটি অবশ্যই আইনত নিষিদ্ধ নয়।

মেহতা বলেন, বাদীপক্ষকে দেখাতে হবে প্রযুক্তি কী কারণে ক্ষতিকর। তিনি এই মামলাকে অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও অভিহিত করেন।

বেসরকারী টেলিকম সংস্থার প্রতিনিধি ও জ্যেষ্ঠ্য আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ৫জি প্রযুক্তি চালু করা বিষয়ে সরকারের নীতি রয়েছে। এটি যেহেতু নীতিমালায় গৃহীত হয়েছে তাই একে অন্যায় বলার সুযোগ নেই।

জনস্বাস্থে্যর জন্য ‘ক্ষতিকর’ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমে বাদীদের প্রমাণ করতে হবে যে, গৃহীত নীতিমালা ক্ষতিকর এবং এটি এড়ানোর সুযোগ নেই।

“তাদের প্রমাণ করতে হবে যে নীতিটিই ভুল।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar