ad720-90

‘এক দেশ, এক রেট’, ৫০০ টাকায় ইন্টারনেট


সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ‘এক দেশ, এক রেট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। রোববার(৬ জুন) বিটিআরসি’র কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

‘এক দেশ, এক রেটের’ আওতায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য হবে মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে- এর গতি হবে ১০ এমবিপিএস।

তৃতীয় প্যাকেজের গতি হবে ২০ এমবিপিএস, দাম হবে মাসে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ারড বা ভাগাভাগির ব্যান্ডউইথের ক্ষেত্রে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন এই প্যাকেজগুলোতে যে গতির কথা বলা হয়েছে, তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, আমরা রেট যতই কমাই, গতি ঠিক না থাকলে সুফল পাওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

উপস্থাপনায় তিনি জানান, গত ২৩ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের এক সভায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম ৫ এমবিপিএস ৫০০-৬০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০-১০০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে সেখান থেকে দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক দেশ, এক রেট কার্যক্রমের উদ্বোধন করে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি একটি মাইলফলক। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট মানুষের অধিকার। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা সমতার জায়গায় যেতে চাই।

ইন্টারনেট সরবরাহের বিভিন্ন পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় আলোচনায় এসেছে, সেগুলো বিটিআরসির পক্ষ থেকে টুকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সমাধান করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারা দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিবহনে মূল্য নির্ধারণের প্রসঙ্গটি আসে। এটি তোলেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম ও এনটিটিএন অপারেটর ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিক

এর পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা রিসেলার হিসেবে যে নিম্নমানের সেবা দিচ্ছে, সেখানেও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

আমিনুল হাকিম বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থার অন্যান্য স্তরে দাম ঠিক না থাকলে গ্রাহক পর্যায়ে ‘এক দেশ, এক রেট’ টেকসই করা কঠিন। তিনি আরও বলেন, সেবার মান নিশ্চিত করতে বিটিআরসির নজরদারি বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর যে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) রয়েছে, সেটা কে দেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভ্যাট সব সময় গ্রাহক দেন। সেবাদাতারা এ ক্ষেত্রে আদায়কারীর ভূমিকা পালন করেন।

অবশ্য বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) লেখা থাকে, সেখানে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আবার পোশাক-জুতা, খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্যের বাইরে ভ্যাট যোগ হবে বলে উল্লেখ করা হয়। বিটিআরসি যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতে ভ্যাটের কথা কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

ইন্টারনেটের গতি ঠিক না থাকলে কোথায় অভিযোগ জানানো যাবে- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসির কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে তারাই ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar