ad720-90

আত্মহত্যার প্রবণতা শনাক্তে এআই আনছে দক্ষিণ কোরিয়া


কিন্তু বিষয়টি যে এতো সহজ নয় সেটিই গবেষকদের একজন বর্ণনা করছিলেন যে, নজরদারি দলগুলির পক্ষে বিষয়টি কতোটা কঠিন হতে পারে।

সিউল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বুধবার জানিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে তারা যে এআই সিস্টেম তৈরি করছেন তা ক্যামেরা, সেন্সর এবং উদ্ধার পরিষেবার রেকর্ড থেকে তথ্য যাচাইবাছাই করে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করা শিখছে।

প্রধান গবেষক কিম জুন-চুল বলেন, কয়েক ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য এবং ব্যক্তির আচরণে দ্বিধার আভাসের মতো বিষয়গুলো মূল্যায়নের ভিত্তিতে এআই তখন একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির অনুমান করতে পারে এবং দ্রুত উদ্ধারকারী দলকে সতর্ক করতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইয়োইডো ওয়াটার রেসকিউ ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা কিম হাইয়ং-গিল সিওলের হান নদীর ওপরের সেতু থেকে রিয়েল টাইম ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করার সময় রয়টার্সকে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, নতুন সিসিটিভি আমাদের ক্রুদের কেসগুলি কিছুটা দ্রুত শনাক্ত করতে এবং আরও দ্রুত সাড়া দিতে সহায়তা করবে।”

প্রযুক্তিটি নিয়ে কিমের দল গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছে। একটি পাইলট প্রকল্পের আকারে সিওল ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার হেডকোয়ার্টার অক্টোবর থেকে প্রযুক্তিটি পরিচালনা করবে।

২০১৯ সালে অর্গানাইজেশন অফ ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেল্পমেন্ট বা ওইসিডি’র একশ’টি দেশের মধ্যে পাঁচ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি ছিল। সরকারী তথ্যানুসারে ওই বছর ১৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের নিজের জীবনাবসান ঘটিয়েছে।

শহরটি জানিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হান নদীর উপর ২৭টি সেতুতে প্রায় ৫০০টি আত্মহত্যা প্রচেষ্টার খবর পাওয়া যায়।

উদ্ধারকারী দলের কিম বলেন, ২০২০ সালে উদ্ধার অভিযানের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে কঠোর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়েছে।

প্রধান গবেষক বলেন, “সিস্টেম নিজেই ফুটেজটি শিখেছে। এর ফলে ভুল অ্যালার্মের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে এনে উন্নত ফলাফল দিতে পারে।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar