ad720-90

ঢাকায় হতে পারে প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ


বৈশ্বিক পর্ব যেন তরুণ প্রোগ্রামারদের মিলনমেলা। ২০১৮ চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশি প্রতিযোগী ও কোচেরা।  ছবি: আইসিপিসি

২০২১ সালে আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) চূড়ান্ত পর্ব (ওয়ার্ল্ড ফাইনাল) আয়োজনের দায়িত্ব পেতে পারে বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)। কাজটি যে হঠাৎ করে হয়েছে, এমন নয়। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কয়েক বছরের চেষ্টায় এই অবস্থানে আমরা আসতে পেরেছি।

আইসিপিসি কী
জামিলুর রেজা চৌধুরীআইসিপিসি হলো ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের সংক্ষিপ্ত রূপ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতা। প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ বলা যায় একে। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক দল গঠনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। তিনজন প্রোগ্রামার বা প্রতিযোগীর দলের সঙ্গে একজন কোচ থাকেন। প্রতিযোগিতার আসরে তিনজনের দলের জন্য থাকে একটি কম্পিউটার এবং এক সেট প্রশ্নপত্র। প্রশ্নপত্রে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রোগ্রামিং সমস্যা বর্ণনা করা থাকে। সমস্যাগুলোর সমাধান তৈরি করে নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি জমা দিতে হয় এবং সেই সফটওয়্যারের মাধ্যমেই দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জমা দেওয়া সমস্যাটি সঠিক হয়েছে নাকি হয়নি। প্রয়োজনে বিচারক দলের সঙ্গে সমস্যা বিষয়ে অনলাইনে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে।

বিশ্ব আসরে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট আঞ্চলিক আসর (কয়েকটি দেশ মিলে একেকটি অঞ্চল) থেকে উত্তীর্ণ হতে হয়। প্রায় একই নিয়ম রয়েছে প্রতিযোগিতা আয়োজনের বেলাতেও। আবার প্রতিযোগী দলগুলো যেমন বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক, তেমনি প্রতিযোগিতার আয়োজক থাকে স্বাগতিক দেশের একটি বা কোনো কোনো সময় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে হঠাৎ করে ইচ্ছা হলেই আয়োজক হওয়ার সুযোগ নেই। আয়োজক হওয়ার আবেদন করার জন্য প্রাথমিক কিছু যোগ্যতা অর্জন বাধ্যতামূলক, সেই সঙ্গে এত বড় আয়োজনের জন্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা এবং আরও কিছু বিষয়ের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হয়।

 আইসিপিসি ও বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে আইসিপিসিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান উদ্যমী হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে প্রথম আলোচনা করেন যে এ রকম একটি প্রতিযোগিতা হয় এবং সেখানে আমাদের অংশ নেওয়া উচিত। সেই সময় এশিয়া মহাদেশ থেকেই এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা খুব কম ছিল। ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা থেকে দু–একটি করে দল অংশ নিতে পারে।

১৯৯৭ সালে ঢাকা সাইটে প্রথম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান আবুল এল হক এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা এবং একটি দীর্ঘ সময় তিনি এশিয়া অঞ্চলে আয়োজনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু হয়। সেই সময় থেকে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়ে আসছে।

 প্রচেষ্টার শুরু

২০১৫ সালে ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ আবারও আমাকে বলতে শুরু করেন যে আপনি একটা উদ্যোগ নেন, আসেন আমরা বাংলাদেশে আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালের আয়োজন করি। তবে আয়োজনের পূর্বশর্ত হলো আঞ্চলিক (রিজিওনাল) ফাইনাল আয়োজনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবার রিজিওনাল ফাইনাল আয়োজন করতে হলে আগে জাতীয় পর্যায়ের আয়োজন করতে হবে। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের শুরুতেই জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ নিই। সেবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য নির্ধারিত ছিল। আমি তাদের উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাঁকে অনুরোধ করি ২০১৬ সালে এনসিপিসি আয়োজনের সুযোগ আমাদের দেওয়ার জন্য। তিনি সম্মত হন এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ওই বছর এনসিপিসি আয়োজন করে আর চুয়েট আয়োজন করে পরের বছর।

২০১৬ সালের মার্চে সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করে ২০১৬ সালে অক্টোবর–নভেম্বরে রিজিওনাল ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। ২০১৬ সালের আয়োজন এতটাই সফল হয় যে এশিয়া আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক সি জিনশং হুয়াং আমাদের ওয়ার্ল্ড ফাইনালের আয়োজক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রস্তাব পেশ করতে বলেন। এ ছাড়া ২০১৭ সালেও আইসিপিসি রিজিওনাল ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ওয়ার্ল্ড ফাইনালের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে আমরা উল্লেখ করেছি যে ২০২১ সালে আমাদের দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্​যাপন করা হবে এবং ওই বছরই আমরা এটি আয়োজন করতে চাই। বাংলাদেশ থেকে দুবার প্রতিনিধিদল পাঠানো হয় আলোচনা ও সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য।

ওয়ার্ল্ড ফাইনাল আয়োজনে আগ্রহী ব্যক্তিদের কয়েক বছর আগেই প্রস্তাব পাঠাতে হয়। কোনো একটি চূড়ান্ত পর্ব চলার সময় আগ্রহী আয়োজকদের প্রতিনিধিদল সেখানে উপস্থিত হয়ে মূল কমিটির সামনে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন করে। আমাদের সৌভাগ্য যে প্রথম থেকেই আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় (টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ) এবং সংস্থা (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়ে আসছি।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬ আইসিপিসির আঞ্চলিক আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে সরকারের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড ফাইনাল আয়োজনে আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ২০১৭ সালে আমাদের আবেদনের অংশ হিসেবে ভিডিও বার্তায় সরকারের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসের পর আমাদের একটি প্রতিনিধিদল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের চূড়ান্ত পর্বে আমন্ত্রিত হয়ে আমাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করে এবং কমিটির সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেয়।

২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফাইনালে আমার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল (যে দলে মন্ত্রণালয়ের একজন, কম্পিউটার কাউন্সিলের দুজন প্রতিনিধি ছিলেন) যায়। মূল কমিটি সামনে আমাদের বিস্তারিত প্রস্তাব আমরা উপস্থাপন করি। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দুটি দেশ ২০২১ সালে আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করে উপস্থাপনা করে।

 মিলেছে আয়োজনের প্রাথমিক অনুমতি

২০১৮ সালের শুরুর দিকে প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া যায় আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্ব আয়োজনের জন্য। এও জানানো হয়, একটি স্কাউটিং দল (প্রতিনিধিদল) আয়োজন–সংক্রান্ত বিষয়গুলো যাচাই করতে বাংলাদেশে আসবে। স্কাউটিং দলে ছিলেন আইসিপিসির নির্বাহী পরিচালক উইলিয়াম বি পাউচার, উপনির্বাহী পরিচালক জেফ ডোনাহু এবং এশিয়া প্রতিযোগিতার পরিচালক সি জিনশং হুয়াং। প্রাথমিকভাবে এই ধাপে জমা দিতে হয় ২০ হাজার ডলার, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তারিখ কয়েকবার পরিবর্তন হলেও গত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দলটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়। আয়োজক ইউএপি থেকে যে কটি ভেন্যু প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রটি এগিয়ে রয়েছে।

এনসিপিসির সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত প্রতিযোগীরা। ছবি: সংগৃহীতআইসিপিসি আয়োজনের ব্যাপ্তি প্রতিবছরই বাড়ছে, ২০২১ সালে প্রায় ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগী ছাড়াও কর্মকর্তাসহ অন্তত দেড় হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ইউএপি মূল আয়োজক হলেও আমরা আরও দু–তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সহ–আয়োজক হিসেবে নেওয়ার কথাও ভাবছি। আয়োজক দলের অন্যতম প্রধান চিন্তার বিষয় বলা যেতে পারে আয়োজনের জন্য অর্থ সংগ্রহ। প্রতিযোগী দলগুলো দেশে পৌঁছানোর পর থেকে প্রতিযোগিতার দিনগুলোর সব খরচ বহন করতে হয় আয়োজকদের। আইসিপিসি ফাউন্ডেশন থেকে প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ডলারের একটি তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। প্রস্তুতি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এ বছর পর্তুগাল এবং ২০২০ সালে রাশিয়ার আয়োজনে প্রতিনিধিদল পাঠাব আমরা।

আমাদের পরিকল্পনার শুরু থেকেই আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়ে আসছি। সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে সরকার পাশে থেকে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আয়োজনে যুক্ত হতে পারবে।

 লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলা

সেই ১৯৯৭ থেকেই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং অংশগ্রহণের দীর্ঘ সময়ের যাত্রার বিভিন্ন ধাপে নিয়মিতভাবেই আমরা সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় প্রথম জাতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (এনসিপিসি) ফাইনাল আয়োজন করা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি ছিলেন এবং বিজয়ী দলের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন।

আইসিপিসি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিযোগী এবং তাদের সঙ্গে কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আগমন করলে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি তুলে ধরার ও ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

আমরা সবে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছি। মূল আয়োজনের জন্য আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং দল গঠনের কাজগুলো ধীরে ধীরে শুরু হবে। আশা করি, সবার সহযোগিতায় আমরা আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্ব সফলভাবে আয়োজন করতে পারব। আর এটি হতে পারে দেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্​যাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

জাতীয় অধ্যাপক, উপাচার্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

একনজরে আইসিপিসি
প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সম্মানজনক আন্তর্জাতিক আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের সংক্ষিপ্ত নাম। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয় আইসিপিসি আয়োজনের মূল দপ্তর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। যদিও ১৯৭৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিল এসিএম (অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি)। কম্পিউটারের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম বড় ও পুরোনো প্রতিষ্ঠান হলো এসিএম। আইসিপিসির শুরু বলা যেতে পারে ১৯৭০ সালে। যদিও তখন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলই এই আয়োজনে অংশ নিত। এই প্রতিযোগিতার বর্তমান যে গঠন ও পদ্ধতি, তা শুরু হয়েছে ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৯ পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী দলগুলো ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১৯৮৯ সালে বেলর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজনের মূল দপ্তর স্থাপন করা হয়। তখন থেকেই আয়োজনটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার রূপ পেতে থাকে। অংশগ্রহণের নিয়মের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন: প্রতিযোগী দলে তিনজন সদস্য থাকতে পারেন, আগে যা চারজন ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান আইবিএম ছিল মূল পৃষ্ঠপোষক। এই সময়ের মধ্যে এই প্রতিযোগিতার ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায় প্রায় ২০ গুণ। আইসিপিসির চূড়ান্ত পর্ব আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়। মূল কমিটির অনুমোদন নিয়ে আয়োজনের সব দায়িত্ব পালন করে থাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রয়োজনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সরকার বা অপর প্রতিষ্ঠান সহ–আয়োজক হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রেও আগে থেকেই আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের অনুমতি নিতে হবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar