স্মার্টফোন আসক্তি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়
মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোন আসক্তির কারণে শারীরিক কার্যকলাপ কমে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র-ছাত্রী দিনে ৫ ঘণ্টা বা এর বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে স্থূলকায় বা মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্মার্টফোন আসক্তি বা অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার হূদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
২০১৮ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিমন বলিভার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১ হাজার ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর ওপর গবেষণা চালিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন। এর মধ্যে ৭০০ নারী ও ৩৬০ জন পুরুষ। গবেষণাটিতে অংশ নেয়া মেয়েদের গড় বয়স ছিল ১৯ ও ছেলেদের ২০ বছর। এর মধ্যে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ছেলের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে এবং ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ ছেলের মধ্যে অতিরিক্ত মোটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। অন্যদিকে মেয়েদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশের ওজন বেড়ে যাওয়া এবং ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশের অতিরিক্ত মোটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে।
গবেষণাটিতে অংশ নেয়া সিমন বলিভার বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্র-ছাত্রী দিনে ৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে সামগ্রিকভাবে ৪৩ শতাংশের মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে হূদরোগের ঝুঁকিও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটির সম্পাদক মিরারি ম্যান্টিলা-মরন বলেন, সাধারণ মানুষের মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষতির বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন। মোবাইল প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে। তবে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার আরো স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, রাস্তায় নামলেই দেখা যায় কিছু মানুষ ‘মাথা নামিয়ে, স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে হাঁটছে’। এমন হাঁটাকে ‘স্মার্টফোন ওয়াক’ বলা হচ্ছে, যা রীতিমতো বিরক্তিকর। এর ফলে যেকোনো সময় যে কেউ বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। স্মার্টফোনের ব্যবহার মানুষের হাঁটাচলাতেও বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া দীর্ঘসময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে অসংখ্য মানুষ আঙুলের ব্যথায় ভোগেন।
Comments
So empty here ... leave a comment!