ad720-90

সবার আগে করোনার টিকার পেটেন্ট দিল চীন


করোনার টিকা তৈরিতে কাজ করছেন চীনা গবেষকেরা। ছবি: রয়টার্সচীনের টিকা বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকসকে তাদের কোভিড-১৯ টিকা ‘অ্যাড৫-এনকোভের’ জন্য পেটেন্ট অনুমোদন দিল বেইজিং। দেশটির মেধাস্বত্ব নিয়ন্ত্রকের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে টিকার পেটেন্ট করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

চীনের পিপলস ডেইলি গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই প্রথম চীনের পক্ষ থেকে কোনো কোভিড-১৯ টিকার পেটেন্ট অনুমোদন দেওয়া হলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, চীনের ন্যাশনাল ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যে ডকুমেন্ট অনুমোদন দিয়েছে, এতে ১১ আগস্ট টিকার পেটেন্ট অনুমোদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

চলতি মাসে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা চীনের ক্যানসিনোর টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করছে। ক্যানসিনো বলছে, তারা টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য রাশিয়া, ব্রাজিল ও চিলির মতো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, হংকংয়ে ক্যানসিনোর শেয়ারের দাম আজ সোমবার সকালে ১৪ শতাংশ বেড়েছে। সাংহাইয়েও ক্যানসিনোর শেয়ারের দাম সাড়ে ৬ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে।

কোভিড-১৯-এর টিকা নিয়ে ধুন্ধুমার রাজনীতি চলছে। কে কার আগে আবিষ্কার করবে এবং বাজার দখল করবে, তা নিয়ে পরাশক্তিগুলো টিকাযুদ্ধে লিপ্ত। প্রতিদিনই টিকা নিয়ে নিত্যনতুন তথ্য আসছে। ওষুধ কোম্পানি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে টিকার পেছনে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের হিসাব অনুসারে, এ পর্যন্ত ২০২টি টিকা তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২৭টি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে।

এ পর্যন্ত টিকা তৈরির কাজে সব থেকে এগিয়ে আছে ব্রিটেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। তিন দেশের টিকাই ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে আছে। হুট করেই রাশিয়া টিকার অনুমোদন দিয়ে উৎপাদন শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অন্য টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সময় সংক্ষেপ করে টিকা বাজারে আনতে চাইছে। এর মধ্যেই জানা গেল চীনা টিকার পেটেন্ট করার বিষয়টি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নেই। এই ভ্যাকসিনই প্রতিবছর ৬০ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করছে। আমেরিকার সংক্রামক রোগবিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, একমাত্র ভ্যাকসিনই এই করোনা মহামারি ঠেকাতে পারে। এ ছাড়া ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একমাত্র ভ্যাকসিনই পারে এই লকডাউন ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে।

বিশ্বজুড়ে যে কয়েকটি টিকা ইতিমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা পর্যায়ে গেছে, এর মধ্যে চীনের কয়েকটি টিকা রয়েছে। সিনোভেক বায়োটেক ব্রাজিলে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে। চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকস ও সিনোফার্ম তাদের টিকার পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

চীনের পক্ষ থেকে বছর শেষ হওয়ার আগে টিকা বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর আগে গত মে মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, চীনে কোনো টিকা পাওয়া গেলে তা বিশ্বের জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar