ad720-90

বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ‘হিট লিস্ট’ তৈরি করছে ইইউ


তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন এবং আরও কঠিন নিয়মের আওতায় পড়বে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। এরকম প্রতিষ্ঠানের তালিকার মধ্যে ফেইসবুক, অ্যাপল ও গুগলের নাম রয়েছে।

মূলত প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার আধিপত্য কমানোর লক্ষ্যেই ওই নিয়ম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠিন নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। – সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এ ব্যাপারে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ফিনানশিয়াল টাইমস।

নতুন নিয়মে তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ডেটা শেয়ার করতে, এবং কীভাবে তারা ডেটা সংগ্রহ করে, সে ব্যাপারটি আরও স্বচ্ছ্ব করতে যেন বাধ্য হয় সে পথেই হাঁটছে ইউনিয়ন।

রয়টার্স জানিয়েছে, শেয়ার সংখ্যা ও ব্যবহারকারী সংখ্যার ভিত্তিতে ওই তালিকা তৈরি করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে, তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কতগুলো প্রতিষ্ঠান থাকবে, এবং তাদের নির্বাচনে সঠিক মানদণ্ড কী হবে, তা নিয়ে এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

গত মাসের শেষে ইউরোপের শীর্ষ এ সংস্থাটি জানিয়েছিল, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের আধিপত্যের কারণে যদি গ্রাহক এবং ছোট প্রতিযোগীদের স্বার্থ ঝুঁকিতে পড়ে, তাহলে প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেওয়া বা তাদের ইউরোপীয় কার্যক্রমের কিছু অংশ বিক্রির জন্য বাধ্য করতে পারবে, এমন ক্ষমতার পরিকল্পনা করছেন তারা।

ইউরোপে গুগল, অ্যাপল, ফেইসবুককে চাপের মুখেই রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেপ্টেম্বরে, গুগল ফিটবিট চুক্তি নিয়ে তদন্তের সময়সীমা ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়াও ফেইসবুক কীভাবে ডেটা সংগ্রহ করে এবং সেখান থেকে আয় করে তা জানতে তদন্ত করছে তারা।

এক পর্যায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও আদালতের কাঠগড়ায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছিল ফেইসবুক। মার্কিন সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ ছিলো, গণহারে সংস্থাটি যেভাবে তথ্য চাইছে তা সামাজিক মাধ্যমটির কর্মীদের গোপনতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

উল্লেখ্য, ওই তদন্তের স্বার্থে মার্চ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কাঠামো ইউরোপীয় কমিশনকে ১৭ লাখ পৃষ্ঠার নথি দিয়েছে ফেইসবুক। এর মধ্যে অভ্যন্তরীন ইমেইলও রয়েছে।

আর অ্যাপল-ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বন্দ্বের খবর তো অনেক পুরোনো। ২০১৬ সালের অগাস্টে ‘আয়ারল্যান্ডকে লাভের অর্থ ব্যবস্থাপনায় অবৈধভাবে ব্যবহার করায়’ অ্যাপলকে ১৩০০ কোটি ইউরো পরিশোধের আদেশ দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রকরা।

ওই আদেশকে ‘পুরোই রাজনৈতিক বর্জ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। পরে আপিল পর্যন্ত গড়িয়েছিল পুরো ব্যাপারটি। আপিলে অ্যাপলের পাশে দাঁড়িয়েছিল আয়ারল্যান্ড, আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ নিয়েছিলেন ফরাসী অর্থমন্ত্রী।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar