সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার আগে যা জানা প্রয়োজন
ডিএমপি নিউজঃ প্রায় প্রতিনিয়তই বাজারে নতুন নতুন স্মার্টফোন আসছে আর পুরনো ফোনটির ওপর থেকে আমাদের মন উঠে যাচ্ছে। হয়তো ইতিমধ্যে অনেকেই প্ল্যান করে রেখেছেন যে, কালকে বা আগামী সপ্তাহে নতুন মডেলের ঐ ফোনটি কিনবেন। তবে বাজাটের অভাবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নতুন মডেলের ফোনটি মার্কেট থেকে কেনা হয়ে ওঠে না। তখন আমার সেই একই মডেলের ফোন পুরনো বা কিছুদিন ব্যবহার করা এমন একটি কিনতে চাই। কম দামে পাওয়া যায় বলে অনেকেই পুরনো ফোন কেনেন। আবার নতুন ফোন পেলে পুরনোটি বিক্রি করাই স্বাভাবিক।
কিন্তু এ দুই ক্ষেত্রেই কিছু সাবধানতা মেনে চলা জরুরি। পুরনো মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে ভালো ও বৈধ ফোন যেমন থাকে, তেমনি অবৈধ ও হারানো ফোনও থাকে।
তাই যদি পুরনো ফোন কিনতেই হয় তবে জেনে, শুনে, বুঝে কেনাই উচিত। পুরনো স্মার্টফোন কেনার আগে বিক্রেতার কাছ থেকে আইএমইআই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে বক্সটি বুঝে নিতে হবে
আইএমইআই নম্বর হলো একটি ফোনের ইউনিক বা স্বতন্ত্র আইডেন্টিটি। বক্স ও কেনার রসিদে আইএমইআই নম্বর উল্লেখ থাকে। *#০৬# কোড ডায়াল করেও ফোনের আইএমইআই নম্বর জানা যায়।
অনেক ফোনের ব্যাটারি রাখার জায়গার আশপাশেও আইএমইআই নম্বর উল্লেখ থাকে। অনেকে ভাবেন, পুরনো ফোনের বিক্রেতা বৈধ-অবৈধ যা-ই হোক, ব্যাপার না। সিম বদলালেই যে পুরনো ফোনটি নিরাপদ হয়ে যাবে, এটা ভুল ধারণা।
হারানো ফোনের গ্রাহক চাইলে আইএমইআই নম্বর দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পুরনো ফোনটি শনাক্ত করতে পারবেন। ফোনের সঙ্গে যাবতীয় সরঞ্জাম ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
অনেকেই আসল চার্জার বা হেডফোন রেখে অন্যটি দিয়ে থাকেন। অনলাইন থেকে পণ্য কেনার সময় এমনটা বেশি হয়। একবার পণ্য হাতবদল হয়ে গেলে বিক্রেতার দেখা আর নাও মিলতে পারে।
কনফিগারেশন ভালো-মন্দ নির্ভর করে ফোনের দাম, ব্র্যান্ড ও মডেলের ওপর। অনেক সময় ভালো ব্র্যান্ডের নামে চায়নিজ ক্লোন বা হুবহু নকল ফোন বাজারে দেখা যায়। এসব ফোনের সঙ্গে মূল ফোনের পার্থক্য মূলত কনফিগারেশনে।
তাই ফোন কেনার আগে কনফিগারেশন ভালোভাবে যাচাই করে বুঝে নিতে হবে। ফোন দেখতে অরিজিনাল মনে হলেও বাস্তব কনফিগারেশন মিলিয়ে নিতে হবে। ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে হার্ডওয়্যার কিংবা সিস্টেম ইনফোতে গেলেই কনফিগারেশন জানা যাবে।
বিভিন্ন মডেলের ফোনের আসল কনফিগারেশন ফোনটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও জানা যাবে। কম দামে পেয়ে তড়িঘড়ি করে ফোন কিনলেই বিপদ। এমন ক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে হবে, বিক্রেতা এটি নিজে ব্যবহার করেছেন, নাকি অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করেছেন। হারানো ফোন হলে ফোন তো যাবেই, এমনকি আপনাকে আইনের আওতায় আনা রহতে পারে।
ফোন কেনার আগে দামের ব্যাপারটি খেয়াল করতে হবে। সস্তায় চোরাই স্মার্টফোন না কেনাই ভালো। পুরনো ফোন কেনার সময় ওয়ারেন্টি কার্ড যাচাই করে নিন। যদি বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ থাকে, তাহলে ভালো, আর না থাকলেও অন্তত বিক্রেতা যে বৈধ, তা ভেবে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। অবশ্য বিক্রয়োত্তর সেবা না থাকলে কেনার পর মেরামত নিয়ে ঝা’মেলায় পড়তে হতে পারে। আবার অনেক সময় পুরনো স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ বাজারে নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই বিক্রয়োত্তর সেবা আছে কি না তা দেখে নেওয়াই ভালো। আর পারতপক্ষে অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকে পুরনো স্মার্টফোন না কেনাই উত্তম
Comments
So empty here ... leave a comment!