ad720-90

কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ‘ক্ষতিকর’ সামাজিক মাধ্যম


এজুকেশন পলিসি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড দ্য প্রিন্স’স ট্রাস্টের এক গবেষণা বলছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া শিশুদের মনোদৈহিক সুস্থ্যতা ও সন্তুষ্টি এবং আত্মসম্মানবোধ একই রকম হয়। ছেলে, মেয়ের এই মাসসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হতে শুরু করে ১৪ বছর বয়সে। মেয়ে শিশুদের বেলায় এই প্রভাবটি দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে।

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, মহামারীর কারণে শারীরিক ব্যায়ামের অভাবে কিশোর বয়সীদের  মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আরও প্রভাব পড়েছে বলেও উঠে এসেছে গবেষণায়।

গবেষণায় উঠে এসেছে-

>>> ১৪ বছর বয়সী তিন জনের মধ্যে একজন মেয়ে তার চেহারা নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষে এই হার সাত জনে এক।

>>> সম্ভাব্য মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে এমন তরুণের সংখ্যা এখন প্রতি ছয়জনে একজন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো নয়জনে একজন।

>>> প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪ বছর বয়সে দূর্বল সারির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহপাঠীদের চেয়ে আত্মসম্মানবোধ কম থাকে।

>>> বয়ঃসন্ধিকালে উভয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে মনোদৈহিক সুস্থ্যতা ও সন্তুষ্টি কমতে থাকে, মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়।

অনেক বেশি পরিমাণে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করলে মনোদৈহিক সুস্থ্যতা ও সন্তুষ্টি ও আত্মসম্মানবোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি বিষন্নতা ও হতাশায় ভোগে।

গবেষণার বিষয়ে ইমানুয়েল কলেজ, ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের গবেষণা সহযোগী ড. এমি ওরবেন বলেছেন, “যারা খারাপ অনুভব করেন তারা সান্ত্বনা বা সামাজিকতার খোঁজে সামাজিক মাধ্যমে যান।”

“এটি (সামাজিক মাধ্যম) কোনো খালি জায়গা নয় এবং এর প্রবাব ভালোমন্দ দুই দিকেই কাজ করে।”

যুক্তরাজ্যের পাঁচ হাজার তরুণের ডেটা নিয়ে গবেষণাটি চালিয়েছে এজুকেশন পলিসি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড দ্য প্রিন্স’স ট্রাস্ট।

কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাবের বিষয়টিও উঠে এসেছে। পারিবারিক আয়, ব্যায়াম এবং মাতৃস্বাস্থ্যের অবনতিও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar