নাসার যে তথ্যগুলো চমকে দেবে আপনাকে!
৬০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে নাসার। আগামী ১ অক্টোবরে। নাসার এই লোগোর জন্ম ১৯৫৯-এ। যেখানে ‘গ্রহ’ বোঝাতে আঁকা হয়েছে নীল গোলক। ‘তারা’র অর্থ মহাকাশ। ‘V’ বলতে বোঝাচ্ছে বিমান চালানোর বিজ্ঞান আর ‘গোলাকার কক্ষপথ’ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে মহাকাশ ভ্রমণ।
রূণ জন্মাল। ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট’-এ সই করলেন তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার। আনুষ্ঠানিক ভাবে নাসার জন্ম হল তার আরও দু’মাস পর। অক্টোবরের ১ তারিখে। জন্ম হল মানবসভ্যতার আধুনিক ইতিহাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের।
‘নাসা’র জন্মের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হল বিল। বলা হল, ‘‘পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর ও বাইরে বিমান চালনার সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে গবেষণার জন্য’ই গড়া হচ্ছে নাসা।
ভাবনাটা অনেক আগে থেকেই ছিল। মানুষ পাঠানো হবে চাঁদে। কিন্তু দুম করে তো আর মানুষ পাঠিয়ে দেওয়া যায় না চাঁদে! তার পিঠটা (সারফেস) ঠিক কেমন, কতটা এবড়োখেবড়ো, তা বুঝতে ১৯৬৪ সালে চাঁদে প্রথম একটি ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযান পাঠাল নাসা। এই সেই ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযান ‘রেঞ্জার-৭’।
চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই মার্কিন মহাকাশযানের পিঠে চেপে চাঁদের পিঠের মোট ৪ হাজার ৩১৬টি ছবি তুলেছিল ‘রেঞ্জার-৭’। সেই সব ছবি বিশ্লেষণ করে নাসা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চাঁদের পিঠের কোন দিকটায় নামানো হবে মানুষ। কোন দিকে মানুষ নামালে বিপদের আশঙ্কা কম।
সেটা ১৯৬৯ সাল। সেই প্রথম এই সৌরমণ্ডলে আমাদের প্রতিবেশী ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের প্রায় কান ঘেঁষে চলে যায় কোনও মহাকাশযান। যার নাম- ‘মারিনার-৬’। ওই সময় খুব কাছ থেকে মঙ্গলের ২০টি ছবি তুলেছিল নাসার এই মহাকাশযান।
এল সেই দিন। ১৯৬৯-র ২৯ জুলাই। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার যে দিন (১৯৫৮) সই করেছিলেন ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যাক্ট’-এ, ১৮ বছর পর সেই দিনেই চাঁদের মাটিতে প্রথম পা পড়ল মানুষের। নিল আর্মস্ট্রং, মাইক কলিন্সের সঙ্গে চাঁদে হাঁটলেন বাজ অলড্রিন।
১৯৭১। ‘অ্যাপোলো-১৫’ অভিযানে চাঁদের মাটিতে আবার নামল ‘ফ্যালকন’ মহাকাশযান। ৩ দিন ধরে ১৮ ঘণ্টা চাঁদের মাটিতে হাঁটলেন দুই মহাকাশচারী ডেভ স্কট ও জিম আরউইন। হ্যাডলি রিলে এলাকায় সেই প্রথম চাঁদের মাটিতে গাড়ি (‘মুন কার’) চালালেল মহাকাশচারীরা। সে এক ইতিহাস।
‘থার্মাল অ্যান্ড ইভলভড্-গ্যাস অ্যানালাইজার’ বা ‘টিইজিএ’ যন্ত্রটিই প্রথম খবর দিয়েছিল, মঙ্গলে এখনও জল রয়েছে। ২০০৮-এ। যন্ত্রটির নাম- । চাঁদ থেকে যে মাটি কুড়িয়েছিল যন্ত্রটি, তাতে তাপ দিতেই বেরিয়ে আসে জলীয় বাষ্প।
২০০৮ সালেই শনির চাঁদ ‘টাইটান’-এ প্রথম তরলে ভরা হ্রদের হদিশ পেয়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘ক্যাসিনি’। সেই তরল অবশ্য জল নয়। ইথেনের মতো কিছু তরল হাইড্রোকার্বন।
আজ থেকে ৪০০ বছর আগে, ১৬১০ সালে টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে প্রথম শনি গ্রহের বলয় দেখতে পেরেছিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলেই। তার ৩৬০ বছর পর , গত শতাব্দীর সাতের দশকের শেষাশেষি শনির সেই বলয়ের এই ছবি তুলেছিল নাসার ‘ভয়েজার’ মহাকাশযান।
Comments
So empty here ... leave a comment!