ad720-90

ডার্ক ওয়েব ( Dark Web ) বা ইন্টারনেট এর কালো জগতের আলোচনা ৷ পর্ব :-১(দুধ ভাত)


ডার্ক বা ডিপ ওয়েব কি :

যে সকল সাইট জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত না, যেগুলোর ক্রিয়েটর বা প্রতিষ্ঠাতা রা চান না সাইট গুলো কেউ সার্চ করে খুজে পাক সেগুলো কেই ডীপ ওয়েব বলে। এটা সাধারন ভাষায়, আরেক টু ভিতরে গেলে বোঝা যায় যে সকল সাইট বা অনলাইন কনটেন্ট কে লুকিয়ে রাখা হয় সার্চ ইঞ্জিন বা আপনার আমার মত সাধারন মানুষ থেকে সেগুলোকেই ডার্ক ওয়েব বলে।

এখানে কি হয় ?

যা কিছুকে রক্ষা করা হয় কপিরাইট দিয়া সবি নাকী এখানে পাওয়া যায়?

পাওয়া যায় ড্রাগস, আর্মস, এমনকি খুনি ?

আপনি ভুল শোনেন নাই, আমি ঠিক ই বলছি, একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম একজন মুখস পড়া ব্যক্তি, হাতে একটা ভয়ানক ছোরা নিয়ে ছবি দিয়ে রাখছে, ক্যাপশন ” I Can Kill Anyone For Money” ।

আরেক বিজ্ঞাপন দেখলাম ইরাক যুদ্ধে ব্যাবহৃত শটগান ! বিক্রি করতে চাচ্ছে, তাও ওদের ভাষায় Cheap Rate এ !!!!!!!!

নানা রকম হ্যাকিং টিউটোরিয়াল, বিভিন্ন পাইরেটেড টুলস কি নাই।

থামি, আগে বুঝায় বলি ডিপ ওয়েব জিনিস টা কি।

অনলাইনে যা কিছু আছে তার পরিমান কল্পনা করা আমার ধারনার বাইরে, এর মধ্য কিছু লিখে সার্চ করলে যতগুলো আসবে তা ঘেটে দেখতে গেলেই আমার কবছর লাগবে নিজেও জানি না।

বাট মজার বিষয় হলো মোট তথ্য বা ফাইলের শতকরা ১% নাকি আমরা দেখতেছি বাকি ৯৯% ই লুকানো অবস্থায় থাকে। এগুলোই ডার্কওয়েবের জিনিষ পত্র আরকি।

Googleএর সক্ষমতা কতটুকু?

জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে আপনি যখন কোন বিষয়ে সার্চ দেন আর গুগল তার লক্ষ লক্ষ ফলাফল আপনার সামনে হাজির করে তা ইন্টারনেটে থাকা মোট তথ্যের মাত্র ১০ শতাংশ থেকে প্রাপ্ত! অর্থাৎ গুগল অনলাইনের মোট তথ্যের ৯০ শতাংশ জানে না! এলেমে থাকা মাত্র ১০ শতাংশের মধ্যেই সার্চ দিয়েই সে তার ফলাফলকে গ্রাহকের সামনে হাজির করে। বাকি ৯০ শতাংশ চিরকালই আপনার অজানা থেকে যাবে।

এক জরিপে জানা গেছে দৃশ্যমান ওয়েবে যে পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত আছে তার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশী ডেটা সংরক্ষিত আছে অদৃশ্য ওয়েবে। প্রকৃতপক্ষে এই দৃশ্যমান নেট হল মহাসাগরে ভেসে থাকা এক খন্ড হিমবাহ আর ডীপ ওয়েব হল মহাসাগর খোদ নিজে!

Short Cut:-

Dark ওয়েবেকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, আর তা হলঃ

1. The Deep Web2. The Dark Web
এ দুটোই নিয়ে পরবর্তি পষ্টে আলোচনা হবে ৷

আরো ভালোভাবে বলতে গেলে ?

আপনার খাটের তলায় ইট দেয়া না লোহা দেয়া তা তো আমার জানার কথা না, সেটা তো থাকে ঢাকা, সেটারে দেখতে হলে আমারে বিছানার পর্দা ওঠাতে হবে । তেমনি ধরেন আমেরিকার একটা সাইট আছে, যেটাতে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন মিসাইলের তথ্য, কেমনে ব্যাবহার করা হবে, কই ফেলা যাবে, এসব রাখা আছে। আমেরিকান সরকার কি চাবে যে কেউ খুজে পাক সেই তথ্য ? উহু, সেটারে রাখা হবে অন্ধকারে, বা ডার্ক ওয়েবে। বুঝছেন ?

খারাপ দিকঃ

বেয়াইনী জিনিষ পত্র অনেক টা খোলাখুলি ভাবেই রাখা এখানে। চিন্তা করতে পারেন অস্ত্র, বোমা বানানোর সিস্টেম, মাদক দ্রব্য সব যদি অনলাইনে কিনেই নিতে পারেন, তাহলে অবস্থা কি ভয়ানক হবে ?
খুব সুরক্ষিত তথ্য বা কপিরাইট প্রটেক্টেড অনেক কিছুই এখানে পাওয়া সম্ভব। কম্পানীর কিছু করার নাই, কার নামে মামলা করবে ? এটা ডিপ ওয়েব মাম্মা।
ভাইরাসের ঘাটি। এখানে যারা কাজ করেন মোটামুটি সবাই খুব উচু মানের প্রোগামার, সো এদের ক্ষমতা খুবি বেশী। ওখানে Youtube এর মত নাম গুলো ব্যাবহার করা হয় না, ব্যাবহার করা হয় না কোনো .com .net ডোমেইন । এখানের সব যেহেতু লুকিয়ে রাখা, সো আন্দাজ করে কোন সাইটে ঢোকা অসম্ভব অনেক ক্ষেত্রেই। ব্যাবহৃত হয় .onion নামে ডোমেইন, সাইট গুলোর এ্যাড্রেস হয় jqis3iy5x.onion এরকম । বুঝেন ঠ্যালা ! ( Onion মানে পেয়াজ , পেয়াজের মত অনেক আস্তরনে লুকিয়ে রাখা হয় বলে এমন নাম সম্ভবত )

দরকারী দিকঃ

সরকারী গোপন তথ্য রাখতে সাহায্য করে। তবে জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জের মত কেউ যদি আপনার পেছনে লাগে তাহলেই হবে কাজ।
গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোন বিকল্প নাই।

ওয়েবসাইট এর পেছনে যারা কাজ করেন, তারা তো জানেন ই সাইটের ব্যাকএ্যান্ড লুকানো রাখা টা কতটা জরুরী।

ভালো দিকঃ


যাদের শেখার আগ্রহ আছে, হ্যাকিং, প্রোগামিং, টিপস, এ সম্পর্কে অঢেল লেখা, তাও সেরা মানের প্রোগামার দের। আপনাকে সুধু জানতে হবে কই পাওয়া যায়। বাট শুরুতে যে ধাক্কাটা খাইছি, বেশির ভাগ আর্টিকেল স্প্যানিশ ভাষায় লেখা। গুগল ট্রান্সলেটর আছে না আমাদের এখন ?
একটা সেকটর যা সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না, এত বড় যে আমাদের কল্পনার বাইরে।


ডার্ক ওয়েব ( Dark Web ) বা ইন্টারনেট এর কালো জগত পর্বঃ২ এ আমরা জানতে পারবো কী ভাবে DarkWeb থেকে নতুন রিলিজ হওয়া Movi,song,Game,Apps ইত্যাদি Download করতে হয় ৷ এবং Tor & Orbot এর আলোচনা ৷ ধন্যবাদ ৷





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar